মোঃ আব্দুর রকিব, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে আরিফুল ইসলাম রাকিব। সে উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মাছ বিক্রেতা মোঃ কদর হোসেনের ছেলে। তার বাবার মাছ বিক্রি করা রোজগারে কোনরকম তাদের সংসার চলে। কদর হোসেনের চার ছেলের মধ্যে দুই ছেলে এবার এস এসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। বড় ছেলে রাকিব জিপিএ-৫ পেলেও তার মেঝ ছেলে অল্পের জন্য জিপিএ-৫ পায়নি। সেঝ ছেলে জহিরুল ইসলাম সাজিব সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে ও ছোট ছেলে সাদেকুল ইসলাম মোজাম্মেল ৩য় শ্রেনীতে পড়ে।
রাকিবের বাবা কদর হোসেন বলেন, আমার ছেলে রাকিবের ফলাফলে আমি ভীষন খুশি যা বলে প্রকাশ করা যাবে না। ছেলেটা গরীব বাবার স্বপ্ন পুরন করেছে। আমি বিভিন্ন ডোবা-নালায়, খালে-বিলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। কখনও-কখনও কৃষি কাজ করে সংসার চালাই। আমার বড় ছেলে রাকিব ও সংসার চলানোর জন্যে প্রতিনিয়ত সাহায্য করে। আমি আমার ছেলেকে ডাক্তার বানাতে চাই। তবে আমার তো আর্থিক অবস্তা খুবই খারাপ। কিভাবে কি করবো বুঝে উঠতে পারছিনা।
এদিকে ছেলে জিপিএ-৫ পাওয়ায় আনন্দের মাঝেও বারবার ভাবছেন কিভাবে ছেলেকে কলেজে ভর্তি করবেন। কলেজে ভর্তির টাকা কোথায় পাবেন। এ বিষয়ে নুরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবেদুর রহমান পাভেল বলেন কদর হোসেনের ছেলে রাকিব অত্যন্ত মেধাবী ও বুদ্ধিমান। ছোট বয়স থেকেই লেখাপড়ার প্রতি তার প্রবল ইচ্ছা। আর্থিক সংকটে থাকা সত্ত্বেও এ বছর এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন বলেন মফস্বল এর স্কুল থেকে জিপিএ ৫ পাওয়া এত সহজ কথা নয় আরিফুল ইসলাম রাকিব খুবই মেধাবী একজন ছাত্র, সে আমাদের স্কুলের গর্ব। সে ভবিষ্যতে অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরান বলেন, নিজের ইচ্ছা শক্তি আর পরিশ্রম করলে ভালো রেজাল্ট করা যায় রাকিব তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে বাবার সাথে বিভিন্ন কাজে সহযোগীতা করেও রাকিব জিপিএ-৫ পেয়েছে। ভবিষতে রাকিবের পড়াশোনার জন্য আমি তার পাশে থাকবো।
Posted ১০:২৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০১ জুন ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad