মোঃ আব্দুর রকিব, শায়েস্তাগঞ্জ সংবাদদাতা: শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় এবার একটু আগাম শীত নামতে শুরু করেছে। প্রত্যন্ত পল্লী থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্তসময় পার করছেন কারিগররা। এই আগাম শীতে লেপ-তোষক ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যবসায়ীরা লেপ-তোষক মওজুদ করে রেখেছেন বিক্রির জন্য। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিন থেকে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশা পড়ছে সর্বত্র। দিনে স‚র্য্যরে আলো থাকলেও সন্ধ্যার পর ঘন কুয়াশার চাদরে চার দিকে ঢেকে যাচ্ছে। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে শায়েস্তাগঞ্জে শীত নামতে শুরু করেছে। আগাম শীতের কারণে লেপ-তোষক বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় বেজায় খুশি ধুনকর আর গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা। তেপ-তোষক তৈরীর জন্য অগ্রিম বায়নাও নিচ্ছেন কোন কোন কারিগর।
গত কয়েকদিন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর বাজার, পুরানবাজার, সুতাংবাজার ও আলীগঞ্জ বাজারে লেপ-তোষক তৈরীর কারিগরদের ব্যস্ততা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ পুরাণ বাজারের লেপ-তোষক তৈরির দোকান ‘আম্মাজান’ বেডিং স্টোরের মালিক মোঃ কামাল উদ্দিন জানান, এরই মধ্যে ক্রেতারা নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষক, বালিশসহ শীতবস্ত্র সংগ্রহ করছেন সাধ্য মতো। তবে লেপ-তোষক তৈরীর কাঁচামাল তুলা ও কাপড়ের দাম একটু চড়া। বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্টস তুলা (সাদা) ৬০ থেকে ১২০ টাকা, গার্মেন্টস তুলা (কালো) ৩০ থেকে ৬০ টাকা, শিমুল তুলা ৬শ টাকা থেকে ৬শ ৫০ টাকা, র্কাপাস তুলা ২শ টাকা থেকে ২শ ৫০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। লেপ তৈরীর লাল শালু কাপড় প্রতিগজ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর লেপের চাহিদা অনেক বেশী রয়েছে। লেপ-তোষক তৈরীর কাঁচামাল ও লেপ-তোষকের বর্তমান ম‚ল্য বিষয়ে একই কথা বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ পুরাণ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ‘জবরু মিয়া বেডিং স্টোরে’র মালিক মোঃ জবরু মিয়া ।
শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরের দাউদনগর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ জয়নাল মিয়া। তিনি জানান, গত বাছর ১হাজার টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছিল এবার সেটা ১৩শ টাকা থেকে ১৬শ টাকা খরচ পড়ছে এবং শুধু লেপ তৈরীর মুজুরী ২ শত টাকা। একটি লেপ বানাতে গত বছরের চেয়ে এবার ২০০/৩০০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। তিনি আরও জানান, একটি তোষক ১হাজার থেকে ১২শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে ও উন্নতমানের একটি জাজিম ৩হাজার থেকে ৪হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এভাবেই উপজেলার সর্বত্র জনসাধারণ শীত মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অন্যদিকে লেপ তৈরীর জন্য অগ্রিম টাকা দিতে দোকানে আসা ক্রেতা মতিন মিয়া বলেন, আর কয়েক দিন পর লেপ-তোষকের কারিগররা বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। লেপ-তোষক তৈরীর কাঁচামালের ম‚ল্যও বৃদ্ধি পেতে পারে তাই, আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাছাড়া, অনেকেই ঘরে থাকা পুরাতন লেপ-তোষক মেরামত করার জন্য দোকানে নিয়ে আসছেন ও গ্রামাঞ্চলের গৃহবধুরা শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পুরাতন কাঁথা, কম্বলগুলো মেরামত করে রাখছেন।
Posted ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad