মোঃ আব্দুর রকিব, হবিগঞ্জ থেকে : ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন কর্মজীবীরা। অনেকেই আবার ছুটি বৃদ্ধি করে যানজটের অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে কয়েকদিন পর যাত্রা করবেন। বাংলাদেশে সবচেয়ে নিরাপদ যাতায়াতের বাহন হচ্ছে রেলপথ। এখন এ রেলসেবা পেতে অ্যাপ ব্যবহার করা ব্যাতীত উপায় নাই। এবার ঈদের আগাম টিকিট বিক্রির অ্যাপের সার্ভার ডাউন থাকায় বেশ ভোগান্তির শিকার হয়েছেন টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীরা। একাধিক ভুক্তভোগী জানান, এবারের মতো অবস্থা থাকলে মানুষ অনলাইনে টিকিট ক্রয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
টিকিট প্রত্যাশী ভুক্তভোগী কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকেই রেলেরঅ্যাপ ‘রেলসেবা কাজ করছে না। ঈদে ট্রেনের টিকিট বিক্রির একদিন আগে থেকেই অ্যাপে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। যদিও বলা হয়েছিল, এবার একসঙ্গে লক্ষাধিক মানুষের হিট অ্যাপ নিতে পারবে। গত ঈদে অ্যাপ ব্যবহারে চরম ভোগান্তি আর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ছিল রেলওয়ে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের (সিএনএসবিডি) বিরুদ্ধে। সিএনএসবিডি ২০০৭ সাল থেকে রেলের টিকিটিং পদ্ধতি পরিচালনা করছে। অনলাইন ও অ্যাপের কাজও তারাই করছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবার ই-টিকিটিং সিস্টেমের অবস্থার উন্নতি হবে।
ইয়াসির আরাফাত নামে এক যাত্রী জানান, সকাল ৯টার পর থেকে এই অ্যাপের সঙ্গে তিনি যুদ্ধ করছেন। আরেকজন বলেছেন, একঘণ্টা চেষ্টা করে অবশেষে টিকিট পেয়েছেন।কিন্তু অ্যাপ ঠিকঠাক কাজ করছে না। আরেকজন ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখেন সাইট সার্ভার ডাউন হয়ে আছে।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ট্রেনের টিকিট শতভাগ অনলাইনে কাটা হচ্ছে।খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, অসাধু টিকিট বিত্রেতারা টিকেটের মুল্যের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে টিকিট বিক্রি করছে। ২১৫ টাকার টিকেট ৫ শ টাকা, কোন কোন ক্ষেত্রে তা ৮/৯ শ টাকাও নেওয়া হচ্ছে। ভোর ৬ টায় রেল সেবা এ্যাপস থেকে টিকেট কাটতে হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাড়া কেউ টিকেট কাটতে পারে না। এই সুযোগে কম্পিউটার দোকানীরা টিকেট কেটে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। আবার অনেক যাত্রীই টিকেট ছাড়া ভ্রমন করে থাকেন।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এডিএম সাইফুল ইসলাম টিকেটের বাড়তি দাম সম্পর্কে বলেন, এখন আমাদের কিছু করার নাই। আমাদের কাউন্টার থেকে এখন কোন টিকিট বিক্রি হয়না। যাত্রীরা ঘরে বসেই ট্রেনের টিকিট কাটেন।তিনি জানান, সবজায়গাই রেল স্টেশনের পাশে কম্পিউটারের দোকান খুলে বসে আছেন, তারাই এখন টিকেট কাটেন । তারা টিকিটের দাম বেশি নিলে আমাদের কিচ্ছু করার নেই। অনলাইনে টিকিট কেনার ভোগান্তির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুলত সকালে সার্ভার কিছু সমস্যা করে, কারণ এ সময় হাজার হাজার মানুষ একসাথে এ্যাপস ব্যবহারের চেষ্টা করেন, সকাল বেলা ছাড়া সার্ভার সমস্যা করেনা। টিকেট ভোগান্তির কারনে টিকিট না পেয়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ শ যাত্রী বিনা টিকেটে যাত্রা করেন। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি মন্ত্রনালয়কে অবহিত করেছি।
Posted ৮:৩১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৮ আগস্ট ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad