মোঃ আব্দুর রকিব, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় গুপ্তঘাতক করোনাভাইরাস আতঙ্ক ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে প্রাইভেট ডাক্তারদের চেম্বার বন্ধ রয়েছে। তবে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকগণ চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন। শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়- নিজকক্ষে রোগি দেখছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাদ্দাম হোসেন।
কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, বর্তমানে করোনা সংক্রমনের ভয়ে উপজেলায় প্রাইভেট চেম্বারগুলো বন্ধ রয়েছে তবে সরকারি এই হাসপাতালে আসা রোগীদের যথাসাধ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। নতুন ঘোষিত এ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখনো নির্মাণ করা হয়নি তবুও করোনা আতঙ্কের মধ্যে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ জন রোগীকে সরকারি সেবা দিচ্ছেন এই তিনি।
ডা. মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকছেন। এখানে আসা রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেয়ার সাথে কিছু সরকারি ঔষধও দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে নতুন এ উপজেলা থেকে করানাভাইরাস সন্দেহে ৫ জনের নমুনা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল, তবে সবগুলোই নেগেটিভ এসেছে। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলিছুর রহমান উজ্জ্বল জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে আসা রুগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, করোনাভাইরাস আতঙ্কে প্রায় চিকিৎসকশূন্য হয়ে পড়েছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা। চিকিৎসা নিতে রোগীরা ছুটছেন প্রাইভেট ডাক্তার, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেগুলোতে। করোনাভাইরাস সংক্রমনের ভয়ে প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ থাকায় এখন ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পল্লী চিকিৎসকরা।
করোনা আতঙ্কে ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে উপজেলার পিপলস মেডিকেল সার্ভিস, গাউছিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ অন্য প্রাইভেট চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো। উপজেলার পল্লী চিকিৎসকদের কাছে কিছুটা হলেও পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অনেক রোগী বলছেন, এখন তারা সদর হাসপাতালে না গিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে এসেছেন। কিন্তু এখানে ডাক্তার না পেয়ে তারা উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পল্লী চিকিৎসকদের কাছে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পিপলস মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের পরিচালক আমিনুল আনোয়ার বলেন, এখন ডাক্তার না আসায় এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পি.পি.ই) না থাকায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রেখেছেন।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাদ্দাম হোসেন বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার কারণেই এমন সংকট দেখা দিয়েছে। তবুও তারা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন যাতে একজন রোগীও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হন।
Posted ১০:২১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad