মোঃ আব্দুর রকিব, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার দাউদনগর বাজারে দোকানে দোকানে ঘুরছে হাতি, পিঠে বসা হাতির মালিক। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় তুলে সালাম দিয়ে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে দোকানদারের কাছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে দিচ্ছে না কেউ, ততক্ষণ পর্যন্ত শুঁড় নামাচ্ছে না হাতি। এভাবে প্রত্যেক দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার সুতাং বাজারের ব্যবসায়ী এখলাছ মিয়া বলেন,‘দুপুরে হঠাৎ দেখি দোকানের ভেতরে শুঁড় ঢুকিয়ে দিয়েছে বিরাট আকৃতির এক হাতি। টাকা না দিলে হাতি দোকানের সামনে থেকে সরে না, বাধ্য হয়ে ২০ টাকা দিয়েছি।’ পৌর এলাকার দাউদনগর বাজারের মুদিমাল ব্যবসায়ী রফিক মিয়া বলেন কয়েকদিন পরপরই হাতি নিয়ে দোকানে দোকানে চাঁদা তুলে হাতির মালিক।
শায়েস্তাগঞ্জের বাসিন্দা হাসান আলী বলেন, হঠাৎ বাজারে হাতির দেখা মিললে সবারই ভালো লাগার কথা হাতি দেখার জন্য ছেলেমেয়েরা ভীড় জমায়, তাই শখের বসে হাতিটিকে যে যা পারবে দিবে। কিন্তু এভাবে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করাটা অন্যায়। তবে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করা মালিকদের অভিমত কাউকে হাতি দেখলে সবাই খুশিমনে টাকা দিয়ে দেন। খুশি করে দেওয়া টাকা চাঁদাবাজী হতে পারে না বলে দাবি করেন তারা।
হাতির মালিক আব্দুস সালাম জানান বিভিন্ন যানবাহন, ঘরবাড়ি ও দোকানে হাতি দিয়ে টাকা তোলেন তিনি। তাঁর অন্য কোনো পেশা নেই হাতি দিয়ে দৈনিক ২ হাজার টাকার মতো আয় করেন। এই টাকা দিয়ে তিনি হাতির খাবার ও নিজের খরচ চালান।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, যখন হাতি দিয়া দোকান থেকে টাকা উঠানো হয় তখন কেউ জানায় না।এরপরও কেউ কোন অভিযোগ করে না। টাকা তোলার সময় জানালে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।
Posted ৮:১৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad