অভিযোগে উলেখ্য করা হয়েছে ছায়ার হাওর ১২৪ নং পিআইসি সভাপতি মুরাদপুর গ্রামের রঞ্জন সরকারের অসহযোগিতার কারণে বাঁধের কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
বাঁধের কাজ করছে কমিটির ৪ সদস্য। সভাপতি একাউন্ট করছেনা, টাকা উত্তোলন করতে আসে না, এক্সেভেটরের মালিককে কাজের টাকা দিতে পারছেনা তারা। বাধঁ নির্মানের সার্থে রঞ্জন সরকারকে অপসারণ করে কমিটির অন্য যে কোন সদস্যকে সভাপতি নিয়োগ করে কাজ সম্পন্ন করার কথা আবেদনে লিখা হয়েছে।
এনিয়ে রঞ্জন সরকারের সাথে কথা হলে সে বলে আমার কমিটির কে সচিব বা কে সদস্য আমি জানি না। বাঁধে যারা কাজ করে তারই টাকা দিবে, আমার কি। তিনি আরো বলেন আমার প্রয়োজন যখন হবে তখন যাব টাকা উটাতে।
সরজমিনে সাইনবোর্ড দেখা যায় সদস্য সচিব জন্টু সরকার লিখা রয়েছে। সেটি তিনি কেন বলেন কমিটির সদস্য সুমন সরকারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন সভাপতির ঘাড়ে ভূত উটেছে। আর সেই ভুত হল কমিটির বাহীরের রন নামের এক ব্যক্তি। সে সভাপতির কাছের মানুষ। সেই ব্যক্তির প্ররোচনায় সভাপতি আমাদের কমিটির সাথে যোগাযোগ করছেনা। বাঁধ নির্মানের সার্থে বাদ্য হয়েই আমরা কমিটির সদস্যরা সভাপতির অপসারণের জন্য আবেদন করেছি।
অন্য এক জন সদস্য তম্নয় সরকা জানায়, ৫ সদস্যের মধ্যে ৪ জন কাজ করছে শুধু সভাপতি একগুয়ামীর জন্য টাকা উত্তোলন করতে পারছিনা। বাঁধের কাজের জন্য সভাপতি বাতিলের জন্য আমরা কমিটির ৪ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এনিয়ে বাঁধের কাজে নিয়োজিত এক্সেভেটরের মালিক রতন সরকার বলেন এই পিআইসি সভাপতি রঞ্জনের ভুলের জন্য আমি টাকা পাচ্ছি না।
এবিষয়ে সদস্য সচিব জন্টু সরকার বলেন বাঁধের সার্থে ই আমাদের কমিটির সভাপতি বাতিল করা দরকার । আমরা কাজ করতেছি সভাপতি টাকা উত্তোলন করতে দিচ্ছেনা। কাজ করবো টাকা তুলে দিবেনা এমন সভাপতি দিয়ে বাঁধের কাজ করা সম্বব হবেনা। তিনি বলেন তাকে বাতিল করে কমিটির যে কাউকেই সভাপতি দিলে আমাদের প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা সহজ হবে, তাই এ আবেদন করেছি।
এবিষয়ে বাপাউবো শাখা কর্মকর্তা আব্দুল কাউম বলেন অভিযোগ পেয়েছি, দু এক দিনের মধ্যে এর সমাধান হবে বলে জানান।
এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বাহীরে আছেন বলে জানান অভিযোগ দেখে বাঁধের সার্থে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।