পি সি দাশ শাল্লা প্রতিনিধি: শাল্লায় তিন পঙ্গু সন্তান নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে গরীব অসহায় এক দরিদ্র পরিবার। উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের ১ নং ওয়া্র্ডের সোনাকানি গ্রামের অসহায় সাইফুল ইসলাম (৪২) ও স্ত্রী রাকু আক্তারের তিন সন্তান আলবান হোসেন (১১) নাফিসা বেগম (৯) চঞ্চল মিয়া (৫) তারা তিন জনেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। কিন্তু সরকারি কোন সাহায্য সহযোগীতা পাচ্ছেনা এই সহায় সম্বলহীন পরিবারটি।
গত ৩নভেম্বর সকাল ১১টায় হঠাৎ উপজেলা সদরের খেলু মিয়ার দোকানের সামনে তিন সন্তান নিয়ে স্বামী সাইফুল ও স্ত্রী রাকু আক্তার সন্তানদের জড়িয়ে কান্নাকাটি করছে আর বলছে আমরার কেউ নাই!
এঅবস্থায় তাদের নিকটে গিয়ে কেন কাঁদছেন জানতে চাইলে বেড়িয়ে আসে তাদের দুঃখের কাহিনী। তারা বলছিল, ভাই সরকার গরীবদের কত কিছু দেয়, কিন্তুু আমরার মত তিন পঙ্গু সন্তানের অসহায় পরিবারের জন্য কিছুই নাই?
এসময় চোখের পানি মুছতে মুছতে সাইফুল ইসলাম বলেন, কিতা কইতাম ভাই আল্লাহ তিনটি বাচ্চা (সন্তান) দিছে, তাও পঙ্গু । আমি মাছ মারি, আর আমার বউ (স্ত্রী) মাইষের বাড়িতে কাজ করে যা পাই তা দিয়া খাইয়া না খাইয়া আমরার দিন যায়। টেকা পইসা তাকলে বাচ্চারারে ডাক্তার দেখাইতাম। খাইতাম পারিনা ডাক্তার দেখাইমু কেমনে এ কথা বলেই তিনি কেঁদে ফেলেন।
সন্তাদের মা রাকু আক্তারের কাছে সদরে কেন আসলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই শুনছি গরীবরে সরকার ঘর দিতাছে, আমরার মত গরীব কোনু কিছুই পাইনা। মেম্বার ভাইরে কইয়া কোনু ব্যবস্থা অয়নি দেখি । ইগান আইয়া হুনি(শুনি) টেকা (টাকা) ছাড়া না কি ঘর পাওন যায় না মাইষে কয়। আমার তিন পঙ্গু বাচ্চার মুখে তিন বার ভাত দিতাম পারিনা টেকা কই পামু এর লাগি মনের দুঃখে কানতাছি।
এসময় পাশে একেই গ্রামের মসজিদের ইমাম আব্দুল মমিন মোহন বলেন, সত্যি এই পরিবারের অসহায়ত্ব আমি নিজ চোখে দেখি। জায়গা জমিও নাই। মাঝে মধ্যে মেম্বার চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন বলে তিনি জানান।
এনিয়ে আটগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এই পরিবারের বিষয়ে তিনি কিছুই অবগত নন। তবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন তিনটি পঙ্গু সন্তান নিয়ে দরিদ্র এই পরিবারের খবরাখবর নিয়ে সাহায্যের প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।