সেই ৬ টি ব্রীজের মধ্যে ৩ টি ব্রীজ অকেজো । আবার ২০১৬/২০১৭ অর্থ বছরে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ থেকে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ৪ টি ব্রীজের মধ্যে ২ টি অহেতুক নির্মাণ করা হয়। ২০১৭/২০১৮ অর্থ বছরেও কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৪ থেকে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ৩ টি ব্রীজের মধ্যে ২ টির প্রয়োজন ছিলনা।
সর্বশেষ ২০১৮/২০১৯ অর্থ বছরেও কয়েক কোটি টাকার ৬ টি ব্রীজের মধ্যে ২ টি নিশ্চপ্রয়োজন। তারপরও নির্মাণ করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এসব অপ্রয়োজনীয় ব্রীজগুলো নির্মাণে শুধু অর্থই অপচয় নয় সাথে বর্ষায় প্রতিনিয়ত নৌ-দুর্ঘটনা ঘটছে।
সরজমিনে দেখা যায়, হবিবপুর হাওরে রাস্তা বিহীন ১ টি ব্রীজ নির্মাণ হয়েছে সেটির দুই পাশে মাটি নেই, সেই রকম সুখলাইন নতুনহাটির সামনে যেখানে মাত্র ২ লাখ টাকা ব্যয়ে মাটি দিলে রাস্তা হয়, সেখানে ব্রীজ দিয়ে ২৩ লাখ টাকা রাজস্ব বিনষ্ট করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারও মামুদনগরে ২টি ব্রীজ নির্মাণ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সেখানে ১টি ছোট ব্রীজ নির্মাণ হচ্ছে, আবার সেই খালেই ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো ১ টি বড় ব্রীজ নির্মাণের প্রক্রিয়াধীন।
খালে হাওর রক্ষা স্থায়ী বাঁধ থাকার পরও কেন সরকারের এত টকা অহেতুক নষ্ট করছে কর্তৃপক্ষ এনিয়ে এলাকায় সমালোচনার অন্তনেই।
এবিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘উপজেলায় বেশ কয়েকটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে রাস্তাই নেই অথচ সেখানে সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে ফেলা হচ্ছে। পুর্বের ন্যায় এবার ও মামুদনগরে ২ টি ব্রীজ প্রয়োজন নেই তারপরও কেন এসব হচ্ছে’
এনিয়ে পিআইও এর সাথে কথা বলবেন বলেও জানান।
এনিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের সাথে চলমান আটগাঁও ইউপির মামুদনগর গ্রামে ২টি ব্রীজ নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান বলেছেন খালের বাঁধ না কি কাটা হবে, তাই ব্রীজগুলো দেয়া হচ্ছে।’ সেখানে ব্রীজ প্রয়োজন কি না জানতে চাইলে পিআইও আজিজুর বিষয়টি এড়িয়ে যান। ব্রীজের দুই পাশে মাটি নেই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘ব্রীজের উভয় পাশে মাটি দিতে হবে’ কেন দেননি বলা হলে তিনি বলেন এবার সেরকম হবে না।
এব্যাপারে আটগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আজাদ বলেন ‘খালে ১ টি ছোট ব্রীজের কাজ শুরু হয়েছে। আর ১টি ৩ কোটি টাকার বড় ব্রীজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বলেন নৌ চলাচলের জন্যে হাওর রক্ষা বাঁধ কেটে দেয়া হবে সে কারনে আগাম ব্রীজ নির্মাণ করা হচ্ছে।’