রবিবার ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

শাল্লায় আফালে  কচুরিপানা  ভরসা 

সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০     130 ভিউ
শাল্লায় আফালে  কচুরিপানা  ভরসা 
পি সি দাশ  শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জের শাল্লায় দশদিনের মাথায় ফের  বন্যায় পানিবন্দি  হয়ে পড়েছে  নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১৫ টি গ্রামের মানুষ । বসত বাড়িতে পানি ওঠার কারণে শনিবার সকাল থেকেই তাদের ঘরের রান্নাবান্নার কাজ করতে বিরম্ভনায় পরেছেন তারা । 
পাশাপাশি শুকনো খাবার সংগ্রহ করে তারা খদ্যের চাহিদা মেটাচ্ছেন। গত তিনদিন ধরে ভারী বর্ষণের ফলে  উজান থেকে নেমে আসা  পানি বিপদ সীমায়  প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে গ্রামীণ অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট ছোট গাছের চারা, সবজী বাগান মৎস্য খামার পানির নীচে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের  বন্যায় আক্রান্ত  পরিবার গুলোর মধ্যে ত্রান বিতরণ শুরু করা হয়েছে।  বেশ কিছু  পরিবারকে বন্যাশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে।
গত বন্যার তুলনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে  ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অসমাপ্ত দিরাই শাল্লা সড়ক, ভাটী বাংলা কলেজ,  সুখলাইন কমিউনিটি ক্লিনিক , সাতপাড়া বাজার, মনুয়া বাজার, নিজগাঁও বাজার, বিভিন্ন পাড়ার সংযোগ  রাস্তা, গোবিন্দ চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পুর্ব ও দক্ষিণ পাশের নতুন পাড়াগুলো।
এছাড়াও নদীর তীরবর্তী নতুন গ্রামগুলোর বসতবাড়িগুলো ২ থেকে ৩ ফুট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। অপরদিকে দিরাই শাল্লার সড়কের যেটুকু কাজ হয়েছিল সেটি ও বিনষ্ট হয়ে  যাচ্ছে  আফাঁলে।
অবিরাম বর্ষনে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি , অপরদিকে পশ্চিম দক্ষিনের  আফাঁলে  (বাতাসে)  কয়েকটি গ্রামের বসত ঘর, গোয়াল ঘর, রান্নাঘর, আবার অনেকের ধানের গালা ঘর  ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে।  হাওরে  সকল প্রকার  নৌকা, ট্রলার বন্ধ থাকায়  উপজেলা সদরের সাথে  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তার পর ও জীবনবাজি রেখে পৈতিক ভিটা রক্ষার যোদ্ধে একমাত্র  কচুরিপানার  উপর ভরসা করে  সংগ্রহে দলবেঁধে  প্রতিযোগিতায় নেমেছে হাওরের দামাল সন্তানেরা।
রবিবার সকালে কচুরিপানা নেয়ার  দৃশ্য দেখা যায় বাহাড়া ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামের পাশে। কথা হয় কচুরিপানা নিতে আসা হরিপুর, শান্তিপুর, হরিনগর, মুক্তারপুর, রূপসা,বাহাড়া, নয়াগাঁও, নাছিরপুর, রহমতপুর, মন্নানপুর, গোবিন্দপুর, সুখলাইন, পুড়ারপার,শিবপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজনের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা  বলেন পানি বাইড়া গেছে, অনেকের বাড়িঘরে পানি উটছে, তার উপর আফাঁলে (বাতাসে) সব কিছু ভাঙ্গিয়া নিতাছে। এখন একমাত্র ফেনা (কচুরিপানা)  ছাড়া রক্ষার উপায় নাই। তাই আফাঁলের মাঝেও কষ্ট করে ফেনা নিতে আইছি। 
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:৩৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০

Sylheter Janapad |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
সম্পাদক ও প্রকাশক
গোবিন্দ লাল রায় সুমন
প্রধান কার্যালয়
আখরা মার্কেট (২য় তলা) হবিগঞ্জ রোড, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
ফোন
+88 01618 320 606
+88 01719 149 849
Email
sjanapad@gmail.com