শাল্লা সদর বাজারে ডাক বাংলার পিচনের গলিতে টঙ্গ উচ্ছেদ করে স্থায়ী ভাবে ৩টি দোকানকোঠা নির্মাণ করছেন ইউএনও। এনিয়ে জাতীয় , স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় বেশ লেখালেখি হলেও জনসার্থে কাজটি বন্ধ করা হচ্ছে না।
এবিষয় সদর বাজারের ব্যবসায়ী অনেকেই বলেছেন ‘প্রতিবাদ করলেই আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নানা অজুহাতে মোবাইল কোট দিয়ে বড় রকমের ক্ষতি করবে সেই ভয়ে প্রতিবাদ করছিনা।’ তবে বাজারে ৭৫ ভাগ ব্যবসায়ী বলছেন গলি ছোট করে দোকান তৈরির কাজটি ঠিক হচ্ছে না। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।
এনিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় সরজমিনে কথা হয় রাস্তার পাশের ব্যবসায়ী আবু কালামের সাথে। তিনি বলেন “কদিন আগে ইউএনও স্যার নিজেই এ গলির( রাস্তা) টঙ্গ সড়িয়েছেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন এ জায়গায় কোন প্রকার দোকানকোঠা বসানো হবেনা, এখন তিনি নিজেই স্থায়ী ভাবে ৩টি দোকান তৈরি করছেন সেটি ভাল কাজ হচ্ছে না।”
পাশের ব্যবসায়ী দেবল দাস বলেন ‘আমার চোখের সামনে রাস্তা, আমি প্রতিনিয়ত দেখছি রাস্তায় দোকানকোঠা তৈরির কারনে মানুষের চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। গলি ছোট হচ্ছে পরে আরো সমস্যা হবে মানুষের যাতায়াতে” তিনি আরো জানান ‘এর মধ্যেই মৎস্য অফিসার মামুন আমাদের বলে গেছে দোকানের যাপ খুলে শাটার তৈরি করতে। তারা রাস্তা দখল করবে আর আমাদের নির্দেশ দিবে শাটার বানাও এ কেমন কথা?”
দোকানের কাজে নিয়োজিত রাজমিস্ত্রি আলম্গীর ও বাবুল মিয়ার সাথে কথা হলে তারা নিজেই বলেছে এই জায়গায় দোকান নির্মাণ ঠিক হচ্ছেনা। তারা জানান “আমরা কাজের লোক তাই কাজ কর ”
স্খানীয়রা জানান, কাজের তদারকি করেন মৎস্য অফিসার মামুনুর রহমান, আর কাজের ঠিকাদার হিসেবে রয়েছে তার পছন্দের ব্যক্তি দিপক সরকার লাকু। ২৮ ফুট লম্বা ৬ ফুট প্রস্তে ৩টি দোকানকোঠা তৈরি হচ্ছে ।
গোলাম নবী নামে একজন বলেন রাস্তায় একাজটি করা সঠিক হচ্ছে না।এখানে একটি পুরাতন নলকূপ ছিল সেটি সড়িয়ে কাজ করা জনতার দুর্ভোগ বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই নয়।তিনি বলেন কার সার্থে একাজ করা হচ্ছে জানিনা তবে এটি বন্ধ করা প্রয়োজন।
এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ দাস বলেন ‘রাস্তায় দোকানকোঠা তৈরির ফলে মানুষের চলাচলে বড় রকমের সমস্যা হবে, কাজটি বন্ধ হলে ভাল হয়’
আর একজন মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ ভৌমিক বলেন ‘কথা বলে কি হবে ইউএনও সাব নিজেই রাস্তা পরিষ্কার করে আবার তিনিই রাস্তা দখল করেন এ দুঃখ কার কাছে কই। প্রশাসনে ১/২ জন অফিসার আছে যাদের কথায় ইউএনও সাব এই সব করছে। আমি নিজে দেখেছি এই ছোট গলিতে দোকানকোঠা নির্মাণ সঠিক হয়নি।’
এবিষয়ে শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেন ‘গলিটি খুবই ছোট আবার পাশে ড্রেইন,রয়েছে এঅবস্থায় ওখানে কাজটি মুটেও সঠিক হয়নি।’
এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান “জনতার সমস্যা হলে বাজারের পক্ষ হতে একটি লিখিত দিন তারপর উপজলা কমিটিতে আলোচনা করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে”।