সুমন আহমেদ বিজয়, লাখাই (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি : লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জিতা কর্মকারের হস্তক্ষেপে রক্ষা পেল এসএসসি তে অংশগ্রহণকারী মোসাঃ সিমা আক্তার নামে এক ছাত্রী। সিমা আক্তার লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের সামসুল আলমের সাহসী কন্যা।
সূত্রে জানা যায়, মোসাঃ সিমা আক্তার বুল্লা সিংহগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।
বাবা সামসুল আলম জোর করে মেয়েকে বিয়ে দিতে চেষ্টা চালিয়ে কোন কিছুতেই মেয়ে কে বিয়েতে রাজি করাতে না পেরে জোর করে হবিগঞ্জে নিয়ে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কালে মোসাঃ সিমা আক্তার নিজেই লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জিতা কর্মকার কে ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করে।
মোসাঃ সিমা আক্তারের ফোন পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জিতা কর্মকার তাৎক্ষণিক গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে লাখাই থানা পুলিশ ও স্হানীয় ইউপি সদস্য সহ সিমার বাড়ীতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন।
এসময় মেয়ের মা বাবা মেয়ে পূর্ণ বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেনা এই মর্মে অঙ্গিকার প্রদান করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে ৫ হাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেন।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত সঞ্জিতা কর্মকর্তা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পিয়ারা বেগম, স্হানীয় ইউপি সদস্য সহ লাখাই থানার একদল পুলিশ।