রাজনগর প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের রাজনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমির দখল নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আব্দুস ছত্তার (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর পাম্প হাউজ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বড় একটি পুকুর রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে এই পুকুর ইজারা দেয়া হলেও গত দুই বছর থেকে ইজারা দেয়া হচ্ছে না। ওই পুকুরের দখল নিয়ে ইসলামপুর গ্রামের একরাম উল্লাহর ছেলে আব্দুস ছত্তার (৫০) ও একই এলাকার বরকত উল্লাহ ছেলে ছয়দুর মিয়ার (৫৫) মধ্যে বিরুধ চলছিল। এনিয়ে মামলাও হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই পুকুরের পাড়ের জমিতে ঘাস কাটতে যান আব্দুস ছত্তার। এসময় ছয়দুর মিয়া ও তার ছেলেদের সঙ্গে বিরোধ বাধে। এসময় ছয়দুর মিয়ার ছেলেদের ফিকলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই আব্দুস ছত্তার মারা যান।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে নিহত আব্দুস ছত্তার মিয়ার পরিবারের ও আশেপাশের লোকজন ছয়দুর মিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে ভাংচুর ও মারধর করে। খবর পেয়ে রাজনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিনয় ভূষণ চক্রবর্তী পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে স্থানীয়দের সহায়তার হত্যার সঙ্গে জড়িত ছয়দুর মিয়া (৫৫) ও তার তিন ছেলে সুহেল মিয়া (৩৮), শিপন মিয়া (২২) ও জুয়েল মিয়া (৩৪) কে আটক করে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর রাজনগর থানায় নিয়ে যায়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে রাজনগর থানা হাজতে আটক ছয়দুল মিয়া বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ রয়েছে। আমাদের করা একটি মামলায় আদালাত থেকে ৭ জনের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। তারা নিজেদের লোক কে হত্যা করে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। আমরা হত্যা করিনি।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। স্থানীয় লোকজন আসামীদের ঘেরাও করে রেখেছিল, পুলিশ গিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Posted ৪:৩৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad