কে,এ,রাহাত, গোয়াইনঘাট: সিলেট নগরীতে হকারদের হামলায় নজরুল ইসলাম মুন্না নিহতের প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নিহত মুন্না ওই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের (স্নাতক-সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
রোববার দুপুরে কলেজের সামনের গোয়াইনঘাট-সালুটিকর সড়কে মানবন্ধন অনুষ্টিত হয়। সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক। এসময় গোয়াইনঘাট-সালুটিকর-সিলেট সড়কের সবধরণের যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। মানববন্ধনে বক্তারা আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে কলেজ ছাত্র মুন্নার খুনিদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
কলেজের ছাত্র গোলাম রেজওয়ান রাজিবের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ তপন কৃষ্ণ দে, কলেজর সহযোগী অধ্যাপক শামীম আহমদ, সহযোগী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বাবর, সহযোগী অধ্যাপক পুলক রঞ্জন চৌধুরী, প্রভাষক আরিফা জোয়ারদার। শিক্ষার্থীদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, নাজিম উদ্দিন নাহিদ, শাহিন আহমদ, এমদাদুর রহমান, রাসেল আহমদ, ডালিম আহমদ, গোলাম আজাদ প্রমুখ। মানববন্ধনে গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নিজ বাড়ি গোয়াইনঘাটের বহর গ্রাম থেকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিজ কর্মস্থলে যায় গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান শাখার মেধাবী ছাত্র নজরুল ইসলাম মুন্না। কর্মস্থল থেকে বেতন তুলে বাজার করার জন্য রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জিন্দাবাজার পৌঁছে।
এসময় জিন্দাবাজার কৃষি ব্যাংকের সামনে স্থানীয় ফুটপাতের কতিপয় ব্যবসায়ীরা সংঙ্গবদ্ধ হয়ে একজন বৃদ্ধ ক্রেতাকে বেদড়ক মারপিঠ করছিলো। বিষয়টি দেখে নজরুল ইসলাম মুন্না ঘটনার প্রতিবাদ করে এবং ওই ক্রেতাকে মারধর না করার জন্য অনুরোধ জানায়য় মুন্না।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফুটপাতের ওই হামলাকারি ব্যবসায়ীরা নজরুল ইসলাম মুন্নার উপরও অতর্কিত হামলা চালিয়ে মুন্নাকে গুরুতর আহত করে ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায় খুনিরা। পরে পথচারীরা নজরুল ইসলাম মুন্নাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিওমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কতৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ঢাকা জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে হবিগঞ্জের মাধবপুর যাওয়ার পথে নজরুল ইসলাম মুন্না মৃত্যুবরণ করে।