ছবি -ইন্টারনেট
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তুতি সভার সিদ্ধান্তক্রমে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে তাদের নিজ মুখের বীরত্বগাঁথা গল্প এবং সেটির শ্রুতিলিখনের কাজ শুরু করেছি, যা পরবর্তীতে সংকলণ প্রকাশের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হবে। এতে করে এটি একটি সমৃদ্ধ সংকলণ হিসেবে পঠিত হবে এবং নতুন প্রজন্ম এর গুরুত্ব বুঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হবে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে তিন থেকে চার জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা পাঠ করে শুনানো হবে এবং সেটি বাঁধাই করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার মাধ্যমে সম্মানিত করা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের।তিনি বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ১১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা জীবিত রয়েছেন প্রত্যেকেরই বীরত্বগাঁথা গল্প শোনা হবে। এর মধ্যে আজ পর্যন্ত ৪ জনের গল্প শোনা হয়েছে। তাদের এই বীরত্বগাঁতা পাঠ করা হবে আগামী ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে।
তাঁরা হলেন- ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল ইসলাম, ডেপুটি কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার মুক্তিযোদ্ধা মো. আমির হোসেন, সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক ফিরোজ ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী (পাখি মিয়া)।
এই মহৎ কাজে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের সম্মানিত নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড’র সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় এটি চুড়ান্ত রূপ লাভ করবে বলে আশাবাদি ইউএনও মো. জসীম উদ্দিন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন ইসকা।
তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অতিতে ফেঞ্চুগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাতকারসহ বিভিন্ন সংকলণ প্রকাশিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা স্মৃতি সংরক্ষণে এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে, এরকম উদ্যোগ আরো আগে নেয়া উচিৎ ছিল। ফেঞ্চুগঞ্জের অনেক মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন, তাদের স্মৃতিও সংরক্ষণে রাখার দাবি জানিয়েছেন বরেণ্য সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন ইসকা
Posted ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad