মোঃ আব্দুর রকিব, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ জেলার সকল উপজেলায় সোনালী পাকা বোরোধানে ছেয়ে আছে ফসলের মাঠ। দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের নান্দনিক দৃশ্য দেখে কৃষকের মুখে হাসির বদলে বিষাদের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। কৃষকের চোখে মুখে অজানা শঙ্কা বাসা বেঁধেছে। এ সময়ে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে দলে দলে ধানকাটা শ্রমিক আসে ধান কাটতে, তাদের বাৎসরিক রুটিন হিসেবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটের কারনে মাঠের পাকা ধান গোলায় তুলতে পারবে কিনা, সে দুঃশ্চিন্তায় হাওরের কৃষকের নির্ঘুম রাত কাটে।
প্রতি বছরই এ মৌসুমের ধান কাটার প্রাক্কালে চৈত্রের শেষ এবং বৈশাখের শুরুতে বোরো ধান কাটার জন্য পাবনা, সিরাজগঞ্জসহ উত্তর বঙ্গের কয়েকটি জেলা থেকে শ্রমিকরা আসেন হবিগঞ্জের হাওর গুলোতে। এ বছরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী রাষ্ট্রীয় বিধিনিষেধের কারনে ঐ সমস্ত জেলা থেকে ধান কাটা শ্রমিক আসতে পারছেন না।
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনায় হাওরের কৃষকগন আশার আলো দেখলেও শ্রমিকরা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এ ব্যাপারে বিভিন্ন জেলার শ্রমিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ তৎপর তাই শ্রমিকরা ভয়ে ও পরিবহন সংকটের কারণে ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না।
এমতাবস্থায়, গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরুতে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে মাঠের পাকা ধান কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হবেনা। এতে মাঠের পাকা ধান মাঠেই পঁচে নষ্ট হবে। এর ফলে এলাকায় খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Posted ৬:৩৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad