রবিবার ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

বিশ্বম্ভরপুুরে ৪র্থ দফা বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, জন দূর্ভোগ বেড়েছে

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০     187 ভিউ
বিশ্বম্ভরপুুরে ৪র্থ দফা বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, জন দূর্ভোগ বেড়েছে

স্বপন কুমার বর্মন, বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ বিশ্বম্ভরপুরে ৪র্থ বন্যায় রাস্তাঘাট, কাচা ঘর বাড়ি ও রোপা আমন সহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং জন দূর্ভোগ বেড়েছে। গত ৪/৫ দিন যাবত অবিরাম বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে উপজেলা বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদের সামনে পানি উঠেছে, উপজেলা প্রশাসনের আবাসিক এলাকা, থানা প্রাঙ্গন, হাসপাতাল প্রাঙ্গন, সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, বিশ্বম্ভরপুর বাজার, খাদ্য গোদাম প্রাঙ্গন, প্রেসক্লাব প্রাঙ্গন সহ বিভিন্ন হাট বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্টান ও গুরুত্বপূর্ন স্থানে এবং বিভিন্ন গ্রাম ফসলী জমি প্লাবিত হয়েছে।

হাওরের ঢেউয়ে হাওর পাড়ের উপজেলা সদর কৃষ্ণনগর পূজা মন্দিরে সামনের মাটি ভেঙ্গে নিয়ে গেছে এবং মন্দিরে পানি উটেছে, মন্দিরটি এখন হুমকি মুখে। বন্যার পানিতে বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের শক্তিয়ারখলা ১০০মিটার ব্রীজ এলাকা প্লাবিত হয়ে এবং বিশ্বম্ভরপুর থেকে সুনামগঞ্জ সড়কে চালবন থেকে আব্দুল জহুর সেতু পর্যন্ত পানি উঠে জন ও যান চলাচল বিগ্ন ঘঠছে। বন্যার পানিতে উপজেলার ফতেপুর, পলাশ, বাদাঘাট(দঃ) ও সলুকাবাদ ইউনিয়নের নিম্না অঞ্চলের রোপা আমন ফসল সহ মৌসুমী সবজির ব্যাপাক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার দাশ বলেন ৪র্থ দফা বন্যায় উপজেলা বিভিন্ন এলাকা এ পর্যন্ত ৩শত হেক্টর জমির রোপা আমন প্লাবিত হয়েছে। শক্তিয়ারখলা গ্রামের আমন ফসলের কৃষক জয়নাল আবেদীন জানান তার ৬ কেয়ার আমন জমির ফসল তলিয়ে বিনষ্ট হয়েছে। লালারগাঁও গ্রামের কৃষক প্রভাত দাশ জানান তার ৪০/৪৫ কেয়ার রোপন কৃত আমন ফসল তলিয়ে গেছে। অনুরোপ আরো অনেক কৃষকের আমন জমি তলিয়ে গেছে।

বিগত বন্যা গুলোতে উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে হাওর পাড়ে অনেক কাচা ঘর বাড়ি ও রাস্তাঘাট ক্ষতি হয়ে ছিল। তার উপর আবার ৪র্থ দফা বন্যা, যেন মানুষের মাঝে মরা উপর খড়ার ঘা স্বরুপ। এ বন্যায় মানুষকে দিশেহারা করে তুলেছে। এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারনে হাওর অঞ্চলের মানুষ কর্মহীন অবস্থায় অভাব অনটনের মধ্যে দিন যাপন করছেন। পর পর বন্যায় অভাব অনটন আরো ব্যাপক ভাবে দেখা দিতে পারে এবং নানা রোগ ব্যাধি দেখা দিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্যার পানি বাড়ছিল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমীর বিশ্বাস বলেন বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপারে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের সাথে যোগাযোগ ও খোজখবর রাখা হচ্ছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:২৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

Sylheter Janapad |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
সম্পাদক ও প্রকাশক
গোবিন্দ লাল রায় সুমন
প্রধান কার্যালয়
আখরা মার্কেট (২য় তলা) হবিগঞ্জ রোড, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
ফোন
+88 01618 320 606
+88 01719 149 849
Email
sjanapad@gmail.com