সিএনজি চালিত অটোরকিশা দিয়ে মাদক পাচারকালে আন্তঃবিভাগীয় গাড়ি চোর চক্রের গড ফাদার তবারক আলীর অটোরিকশাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। এসময় ওই দু’জনসহ গাড়ি থেকে আধাজেজি গাঁজা উদ্ধারসহ তবারক আলীর স্ত্রী সাবিনা বেগমের মালিকানাধীন অটোরিকশা (সুনামগঞ্জ-থ ১১-২০৬৭) জব্দ করে পুলিশ।
এঘটনায় থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা বাদি হয়ে গ্রেফতার হওয়া দু’জনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ২৪, তারিখ ২৬.০৮.১৯ইং)। ওই মামলায় মাদক পাচার ও গাড়ি চোর চক্রের গডফাদার তবারককেও আসামি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মাদকসহ গ্রেফতার ব্যবসায়ী দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুজন হলেন, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের হাজী আরিছ আলীর ছেলে গাঁজা ব্যবসায়ী ফয়ছল আহমদ (৩৫) ও পার্শ্ববর্তি মনোহরপুর গ্রামের মৃত আবদুন নূরের ছেলে সিএনজি চালক গফুর আলী (২২)। এরআগে সোমবার বিকেলে গাঁজা ও অটোরিকশাসহ তাদেরকে আটক করে পুলিশ। আর তবারক আলী হলেন একই ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আলকাছ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় একাধিক গাড়ি চুরির মামলা রয়েছে। আন্তঃবিভাগীয় গাড়ি চোর চক্রের গডফাদার হিসেবে খ্যাত তবারককে মাদক রাজ্যে ‘ইয়াবা সুমন’ নামে সারা বাংলাদেশের মাদক ব্যবাসয়ী গডফাদাররা চেনেন বলে পুলিশসহ একাধিক সূত্রে জানাগেছে।
সূত্রমতে, ২০১১ সালের ১৫আগষ্ট বিশ্বনাথ থানায় দায়েরকৃত গাড়ি চুরির ১৯ নং মামলায় গ্রেফতার করা হয় তবারক আলীকে। পরবর্তিতে ওই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার তৎকালীন এসআই মারফত আলী ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে তবারককে দুই দিনের রিমান্ডে আনেন এসআই মারফত। পরদিন ২৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে হাতকড়াসহ থানা হাজত থেকে পালিয়ে যায় গাড়ি চোর তবারক। অনেক খোজাখুজির পর ওইদিন রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট শহরের আখালিয়া এলাকা থেকে তাকে ফের গ্রেফতার করেন এসআই মারফত আলী। থানা হাজত থেকে ওই আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তৎকালিন সময়ে ডিউটিরত এ,এস,আই আবু মোকছেদ ও কনেষ্টবল আব্দুর রাজ্জাক’কে ক্লোজ করা হয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা বলেন, তাদের ব্যবহৃত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে এবং মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দু’জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।