বানিয়াচঙ্গে কাটা তারের বেড়া দিয়ে প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে অপর প্রতিবেশী ইসমাইল গংরা। প্রতিকার চেয়ে গতকাল শনিবার উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দৌলতপুর গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে সারোয়ার মিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে বানিয়াচং উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে।
লিখিত অভিযোগের বিবরণীতে জানা যায়, ওই গ্রামের সারোয়ার মিয়ার পৈত্রিক সম্পত্তিতে বিদ্যমান রাস্তা কাটাতারের বেড়া দিয়া বন্ধ করে একই গ্রামের ইসমাইল মিয়া, মনির মিয়া, ওয়াসিম মিয়া, জসিম মিয়াগংরা। উক্ত রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ থেকেই তারা চলাচল করে আসছে। পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে জোর পূর্বক এ জায়গায় কাটাতারের বেড়া দিয়ে পরিবারের লোকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে পরিবারের লোকজন জরুরী কাজে বাড়ির বাহিরে যাওয়া, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাতায়াতসহ বাড়ীর গবাদি পশুকে মাঠে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সারোয়ার মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইতিপূর্বে শেখ ফরিদ মিয়া, ওয়াসিম মিয়াগংরা আমার বাড়ীতে আক্রমন করে আমার বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় বানিয়াচং থানায় শেখ ফরিদ মিয়াকে প্রধান আসামী করেন একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভাংচুরকৃত ঘর মেরামত করার পর দ্বিতীয় দফা আবারও শেখ ফরিদ মিয়ার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আমার বসতঘর ভাংচুর করে আমার ঘরের মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে কাটাতারের বেড়া দিয়ে আমাদের কে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভোক্তভোগী সারোয়ার মিয়া।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম খোকন এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃজনক, এটা চরম মানবাধিকার লঙ্গন হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান।
এ বিষয়ে বানিয়াচং ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি, চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে একটি পরিবারকে জিন্মী করে রাখা খুবই ন্যাকারজনক ঘটনা। ইতিপূর্বে সারোয়ারদের বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।