মখলিছ মিয়া,বানিয়াচং থেকে: বানিয়াচংয়ে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী কিশোরী উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব উল্লার মেয়ে ও অভিযুক্ত শাহজাহান মিয়া (২৪) একই গ্রামের আবু মোহাম্মদের ছেলে। সে সম্পর্কে ওই কিশোরীর তালতো ভাই। ঘটনার পর ভূক্তভোগী কিশোরী ঘটনাটি তার তালইকে অবগত করলে তিনি তাকে পুত্রবধূ করে ঘরে তোলার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ ও পরবর্তীতে গর্ভের সন্তান নষ্টের পায়তারা করেন বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। নিরূপায় হয়ে অবশেষে গত ১২ নভেম্বর পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মামলা (নং-২৯৩/২০১৯) দায়ের করেন বলেও নির্যাতিতা কিশোরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন বানিয়াচং থানার উপ-পরিদর্শক গৌতম সরকার।
জানা যায়, একটি হত্যা মামলার আসামী হয়ে ভূক্তভোগী কিশোরীর ভাইয়েরা পলাতক থাকায় তালতো ভাই এক সন্তানের জনক শাহজাহান খোঁজখবর নেয়ার জন্য ওই কিশোর বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত করতো। একসময় সে অপরিণত বয়সী তালতো বোনকে উত্যক্ত করা শুরু করে। প্রতিবাদ করলেও নিবৃত্ত না হয়ে আরো বেশি উত্যক্ত করে। একদিন রাতে কৌশলে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও কৌশলে মোবাইলে ভিডিও করে। ধর্ষণের কথা কাউকে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে আরো কয়েকদিন ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে কিশোরী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে পরিবারের কাছে ফাঁস হয়। ঘটনা শাহজাহানের পিতাকে জানালে তিনি পুত্রবধূ করার আশ্বাস দিলেও কালক্ষেপন করেন ও গর্ভের সন্তান নষ্টের পায়তারা করেন। অবশেষে পিতা ও পুত্রকে আসামী করে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শাহজাহানের বাড়ীতে গিয়ে তাকে ও তার পিতা-মাতা কাউকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানান, গ্রেফতারের ভয়ে তারা পলাতক। এলাকাবাসীর কাছ থেকে শাহজাহান মিয়ার মোবাইল ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে (০১৭৯৭২৮৪৪৫২) বার বার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বানিয়াচং থানার উপ-পরিদর্শক গৌতম সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘এলাকার সর্দাররা (সমাজপতি) ঘটনাটি আপোসরফার চেষ্টা করেছেন। আমি তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি আইন অনুযায়ী এ ঘটনা আপোষযোগ্য নয়। আসামীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।’
Posted ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad