কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বন্ধুর দেওয়া কোমল পানীয় স্পীড পান করে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চারজন আহত ।তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন । এ নিয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার(১৬সেপ্টেম্বর) বেলা একটায় উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমাঘাট এলাকায় সরজমিন খোঁজ নিয়ে ও লিখিত অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত নয়টায় কুরমাঘাট আওয়ামীলীগ অফিসে একই ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত খালিক মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া(৩৩) ভান্ডারীগাঁও গ্রামের মোঃ আফজল মিয়া(৩২),নবাব মিয়া(৪৫).কালাম মিয়া ও নেছার মিয়াকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে শাহিন পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে ছিপি খোলা অবস্থায় ৩টি কোমল পানীয় স্পীড পান করার জন্য দেয়। স্পীড পান করার সময় বিষাক্ত গন্ধ পেলে শাহীনকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্পীড পানের পরপর আফজলসহ তার বন্ধুরা ছটফট করে এবং বমি করে। এ সময় স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কালাম মিয়া ও নেছার মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং আফজল মিয়া ও নবাব মিয়াকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
অভিযোগকারী আহত আফজল মিয়া বলেন, তাদের প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে শাহিন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সকলের অগোচরে স্পিডের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দেয়। অভিযুক্ত শাহিন মিয়ার সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বন্ধুদেরকে স্পিড খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, আমি নিয়মিত কুরমাঘাটে বসে চা পান খেয়ে আড্ডা দেই। স্পিড খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে বমি করার পর আমি তাদের হাসপাতালে পাঠানোর উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে দেই ।কিন্তু বিষ মিশিয়ে স্পিড খাওয়ানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে তিনি মনে করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।
তবে ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম,এ,হান্নান বলেন, কোমল পানীয় স্পিডে বিষ মেশানো নয় বরং অন্য কোন কারণে ফুড পয়জনিং হতে পারে।
কমলগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক সবুজ মিয়া জানান,পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্তক্রমে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানূগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১১:২০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad