কুলাউড়া উপজেলার শরীফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা রেহনুমা সুলতানার বিরুদ্ধে ৮টি অনিয়মের অভিযোগ করেছেন সভাপতি মো. নায়িমুল হক। ৫ জানুয়ারি, ১৫ জানুয়ারি ও ১১ ফেব্রুয়ারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে মৌখিকভাবে এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে এবং সর্বশেষ ২৬ আগস্ট জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নায়িমুল হকের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মাসে অন্ত:ত ১০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকেন। সময়মত বিদ্যালয়ের গেইট খোলা হয়না। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। চা পান পানি এসব দোকান থেকে বিদ্যালয়ের ছাত্রদের দিয়ে আনান। বিদ্যালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত দফতরি নাসির উদ্দিন নিজে কাজ না করে মো. হায়দার আলী নামক ব্যক্তিকে দিয়ে কাজ করানো হয়। স্লিপের বরাদ্ধকৃত টাকা খরচে স্বচ্ছতার অভাব। প্রাক- প্রাথমিকের টাকা খরচেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে। বেতন বিলে সভাপতির স্বাক্ষর না নিয়ে সহ-সভাপতির স্বাক্ষর নেয়া হয়। পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যয়ন পত্র দিতে ২-৩ শ টাকা করে আদায় করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, ২০১৭ সালের মে মাস থেকে সভাপতি নির্বাচিত হন মো. নায়িমুল হক। সভাপতি নির্বাচনের পর থেকে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. রেহনুমা সুলতানা বলেন, সভাপতির অভিযোগগুলো সঠিক নয়। স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে সত্যতা পাবেন।
অভিযোগ সম্পর্কে সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মামুনুর রহমান জানান, তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তত করা হয়েছে। শিক্ষা কমিটির সভায় এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে। পরে জেলা শিক্ষা অফিসার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন
Posted ১০:৪৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad