আলম সাব্বির, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ): তাহিরপুর সীমান্ত এলাকায় স্থিত যাদুকাটা নদীতে পাহাড়ি ভারী বর্ষনে আবারো উপজেলার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । পানি বাড়ছে জেলার অন্যান্য নদ-নদী ও হাওরে।
গত ২৫ জুন থেকে সুনামগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলার চারটি পৌরসভা ও ৮২টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার পরিবার। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৩৭টি। সহস্রাধিক পরিবার এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এরপর মাঝখানে কয়েক দিন বৃষ্টি কম হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়।
কিন্তু দুদিন ধরে আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়ছেন হাওর এলাকার বাসিন্দারা। কোন কোন গ্রামের লোকজন পরিবার নিয়ে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে উটেছেন।
তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর ও শক্তিয়ারখলা এলাকা ও লালপুর হতে সুনামগঞ্জ আব্দজ জহুর সেতু পযর্ন্ত সড়কে নৌকা করে লোকজন যাতায়াত করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী প্রীতম পাল জানান, সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে ব্যাপক পরিমাণে পাহাড়ি ঢল নামছে। এতে সুরমাসহ জেলার বিভিন্ন নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে।
পানি আরও বাড়বে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ জানান, সুনামগঞ্জে আরও তিন থেকে চার দিন ভারী বৃষ্টি হবে। এতে বন্যার পরিস্থিতির অবনতি আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।
Posted ৯:২১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad