আলিম উদ্দিন আলিম, কানাইঘাট: গত ২২ ফেব্রুয়ারী বিদেশ পাড়ি জমানোর সময় শাহজালাল (রঃ) আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন নরসিংদী জেলা মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া। এরপর তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ টাকা, ডলার ও মুল্যবান জিনিসপত্র। পরে যুব মহিলা লীগ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়।
পাপিয়া গ্রেফতারের পর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র এনে ব্যবসা করছিল বলে জানিয়ে ছিল আইনসৃংখলা বাহিনীকে। সেই সাথে সিলেটের এক বড় ব্যবসায়ীর সাথে তার দহরম মহরম সম্পর্ক থাকার কথাও জানিয়ে ছিল তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে। এরপর থেকে শামীমা নুর পাপিয়ার নেটওয়ার্কের খোঁজে নেমেছে সিলেট সহ কানাইঘাটে পুলিশ ও গোয়েন্দারা।
পাপিয়ার অস্ত্র ব্যবসার সাথে সিলেটের ও কানাইঘাটের কোন সীমান্তের কারা জড়িত ছিল সেটি খোঁজে বাহির করতে সিলেট সহ কানাইঘাট জোড়ে কাজ করছে পুলিশ ও গোয়েন্দারের বিশেষ টিম।
গ্রেফতারের পর পাপিয়া জানিয়েছিল তার অপকর্মের অন্যতম সহযোগী রাকিব ও সুমনকে দিয়ে সে সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অস্ত্র আনতো।
পাপিয়ার ভারত থেকে আনা অস্ত্রের মধ্যে ছিল রিভলবার, একে ২২ ও কাটা রাইফেল। পরে এসব অস্ত্র পাপিয়া বিক্রয় করতো ঢাকার একাধিক ডিলারের কাছে। পাপিয়ার কাছ থেকে এই অস্ত্র ব্যবসার তথ্য পাওয়ার পর মাঠে নেমেছে সিলেটের পুলিশ ও গোয়েন্দারা।
পাপিয়ার এই নেটওয়ার্ক কানাইঘাটের কোন সীমান্ত দিয়ে কাদের মাধ্যমে অস্ত্র আনতো তার সন্ধানে নেমেছে তারা। এ ক্ষেত্রে সিলেটের ও কানাইঘাটের চোরাকারবারীদের দিকে বিশেষ নজর রাখছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইন্চার্জ মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, পাপিয়া কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে যে অস্ত্র আনার তথ্য দিয়েছে সে তথ্যটি সত্য কিনা আমরা এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তিনি বলেন, এ বিষয়টির খোঁজ খবর রাখার জন্য আমাদের উপর মহল থেকে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। কানাইঘাট সীমান্ত এলাকায় কারা চোরাকারবারী এবং কারা অস্ত্র চোরাচালানের ব্যবসা করে আমরা সেই সব চোরাকারবারীদের খোঁজ খবর নিচ্ছি।
Posted ৯:৫২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০১ মার্চ ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad