মঙ্গলবার ৬ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ধর্মপাশায় হাওর রক্ষা বাঁধের ১৫৯টি প্রকল্পে মাঝে ৭২ টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০     139 ভিউ
ধর্মপাশায় হাওর রক্ষা বাঁধের ১৫৯টি প্রকল্পে মাঝে ৭২ টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি

সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল ধর্মপাশা উপজেলার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোড (পাউবো) এর আওতাধীন ১৫৯ টি পিআইসি রয়েছে। ধর্মপাশা উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ১৫৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের মধ্যে ৭২টি প্রকল্পে এখনো কাজ শুরু করা হয়নি।

নীতিমালা অনুযায়ী গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে তা চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। এছাড়া এখানকার ৯৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সদস্যদের এখনো বরাদ্দের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়নি। এখনকার ৭২টি প্রকল্পে কাজ শুরু না হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ পিছিয়ে পড়ছে। দিন দিন বাড়ছে ফসলডুবির আশঙ্কা। এ নিয়ে পিআইসি সদস্যসহ স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল, সোনামড়ল, ধানকুনিয়া, জয়ধনা, কাইলানী, ঘোড়াডোবা, গুরমা ও গুরমার বর্ধিতাংশ এই আটটি হাওর সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে রয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে তা চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। হাওর থেকে দেরিতে পানি নামাসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হয় ১৭ ডিসেম্বর।
এ উপজেলার আটটি হাওরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সংখ্যা ১৫৯টি। বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে চন্দ্রসোনার থাল হাওরে ৫১টি, গুরমা ৩০টি, গুরমার বর্ধিতাংশ হাওরে তিনটি, ঘোড়াডোবা ১১টি, কাইলানী ১৭টি, ধানকুনিয়া সাতটি, জয়ধনা ১০টি, সোনামড়ল হাওরে ৩০টি প্রকল্প রয়েছে।
এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চন্দ্রসোনার থাল হাওরে ৪০টি, কাইলানী হাওরে ১২টি, গুরমার হাওরে ১০টি ও সোনামড়ল হাওরে ১০টি প্রকল্পে এখনো কাজ শুরু হয়নি।
বরাদ্দের প্রথম কিস্তি বাবদ দুই কোটি ৮১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ছাড় দেওয়া হলে তা স্থানীয় সোনালী ব্যাংকে এসে জমা হয়। এই টাকা থেকে গত ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এখানকার ১৫৯টি পিআইসির মধ্যে ৬৬টি পিআইসিকে বরাদ্দের প্রথম কিস্তির চেক বিতরণ করা হয়েছে। টাকার অভাবে বাকি থাকা ৯৩টি পিআইসিকে এখনো প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় পিআইসিদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের ধর্মপাশা উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলা উদ্দিন বলেন, এ উপজেলার আটটি হাওরের ১৫৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের মধ্যে ৭২টি প্রকল্পে এখনো কাজ শুরু না হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত হতাশাজনক। দ্রুত ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করা উচিত।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ও ধর্মপাশা উপজেলা কাবিটার প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এবার হাওর থেকে দেরিতে পানি নামার কারণে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ কাজ শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে অবশিষ্ট পিআইসিরদের মধ্যে দ্রুত বরাদ্দের প্রথম কিস্তির চেক তুলে দেওয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তালেব বলেন, রোববার থেকে বরাদ্দের প্রথম কিস্তির চেক পাননি এমন সব পিআইসিদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ উপজেলার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার জন্য আমাদের সবরকম চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Sylheter Janapad |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
সম্পাদক ও প্রকাশক
গোবিন্দ লাল রায় সুমন
প্রধান কার্যালয়
আখরা মার্কেট (২য় তলা) হবিগঞ্জ রোড, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
ফোন
+88 01618 320 606
+88 01719 149 849
Email
sjanapad@gmail.com