সোমবার বিকেলে উপজেলার সোনামড়ল হাওর পারের নজরপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক রবিউল মিয়া বাদি হয়ে ওই হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ১৮ নম্বর উপ-প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও একই ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুব হোসেনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে এ লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার আটটি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ মেরামতকাজে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে স্থানীয় কৃষকদের সমন্বয়ে ১৫৯টি পিআইসি গঠন করা হয়। আর এর বিপরীতে পাউবো থেকে ৩০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ সব বাঁধ মেরামতের কাজ গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে তা চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা। কিন্তু কৃষক না হওয়া সত্ত্বেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে একই ইউনিয়নের কাইলানী হাওর পারের বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুব হোসেনকে সোনামড়ল হাওরের বাঁধ মেরামত কাজে ১৮ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে।
অন্যদিকে পিআইসি মাহাবুব হোসেন প্রকল্প কাজের সময়সীমার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি ওই প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু না করায় স্থানীয় কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এব্যাপারে উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, অভিযোগটি দেখে শীঘ্রই তদন্ত স্বাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।