আশিক মিয়া, দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জমি সংক্রান্ত পুর্ব শত্রুতার জেরে দু পক্ষের সংঘর্ষে ৩৬ জন আহত হয়েছে। এসময় আব্দুল খালেকের পক্ষের লোকজনের একটি ঘরও ভাঙচুর করা হয়। বুধবার সকালে দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আহতদের দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতরা হলেন আব্দুল খালিকের গ্রুপের রহিমা বেগম(৪৫), সৈয়দুন নেছা (৩৫), সোনারা বেগম(২৭), ইউসুফ আলী(৬৫), ফরিদ মিয়া(২৬),আব্দুল হান্নান(৪০), সমসু মিয়া (২৭), মামুনা বেগম(৭), জাহাঙ্গীর(২০), অযুত মিয়া(৪০), সহিদ মিয়া(৩২), সিরাজ মিয়া(৩৮), আমিরুন নেছা(২৫), মিনার (১৮), মতিন(২৮), কামাল(২২) সুজন (২১)।
মাওলানা সফিক উদ্দিন গ্রুপের আহতরা হলেন, নুরুল ইসলাম (৬৫), আশ্রাফ আলী(৫৫), মাহমদ আলী (৫০), হুছন আলী(৪৫), কেরামত আলী (৫০), আছমত আলী(৬৫), আনছর আলী (৩৫), সামছুল(২৩), সফিকুল ইসলাম (৪৩), আইনুদ্দিন(৩৫), জরিনা(৩০), আজিয়া(৩০), জিকরা আক্তার(১৫), সুহেনা(১২), জাহানারা(৪০), রাবিয়া(৪৫), মনোয়ারা বেগম(২৮)।
ঘটনা সুত্রে জানা যায় আব্দুল খালিক গ্রুপ ও মাওলানা সফিক উদ্দিন গ্রুপের মধ্যে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মারামারি ও মামলা মোকদমা চলে আসছে। গত ডিসেম্বর মাসে জমিতে ধান কাটা ও জমিতে ঘর উঠানু ও মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে দুুুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩৬ জন আহত হন। খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এব্যপারে আব্দুল খালিক বলেন, আমার রেকডিয় জমিতে ঘর বেধে বসবাস করছে আমার বাতিজার পরিবারের লোকজন। সেই ঘরটি মাওলানা সফিক উদ্দিনের লোকজন ও মান্নারগাও ইউনিয়নের জালাল পুর গ্রামের কলমদর আলীর ছেলে রেজা সহ তার ৩ তিন ভাই ও তাদের আত্বীয় স্বজন সবাই মিলে লোটপাট করে আমাদের ঘরের বাঁশপালা সহ ঘরের সকল মালামাল ও নগদ টাকা সহ প্রায় লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তারা। আমরা বাঁধা দিলে আমাদের মহিলা সহ ১৮ জনকে মেরে আহত করে।
মাওলানা সফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল খালেকের বাবা আলখাছ আলী আমাদের কাছে ১ কেদার জমি বিক্রি করলেও দীর্ঘদিন যাবত আমাদের রেকডিয় ভুমিতে দখল না দিয়ে খাস জমি সমজাইয়া দেয় তারা। বুধবার সকালে আমাদের জায়গা থেকে জোর পুর্বক মাটি কাটছিল আমরা বাঁধা দিলে খালিকের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায় এবং বাড়িঘর লোটপাট করে।
এব্যাপারে দোয়ারা থানায় ওসি মো. আবুল হাসেম বলেন, জমি জমা নিয়া দুই পক্ষের সংর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আহতদের চিকিৎসার জন্য পাটানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযোগ করা হয়নি, অভিযোগ পেলে আইনানোগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Posted ১:২১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ এপ্রিল ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad