স্থানীয়দের অভিযোগ, তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগেও সরকারি ওয়েবসাইটে তথ্যের আপডেট নেই। এজন্য তাদের বিভিন্ন সমস্যায় স্থানীয় কর্মকর্তাদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।উপজেলাবাসী জানতে পারছে না আয়-ব্যয়, প্রকল্প তালিকা ও বাজেট-সংক্রান্ত তথ্য। ফলে সরকারি ওয়েবসাইটের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা।
উপজেলার ওয়েবসাইটে “প্রকল্পসমূহ” ক্যাটাগরি ভিজিট করে দেখা যায়, পূর্বের কিছু অর্থ বছরের কাবিখা, কাবিটা, টিআর, জিআর, এলজিএসপি ও এলজিডি প্রকল্পের তথ্য সন্নিবেশন করা। এসব প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে কোথায়, কি উন্নয়ন করা হচ্ছে এর কোন তথ্যই নেই।
উপজেলায় কি কি চলমান প্রকল্প রয়েছে, ব্যয় কত, ওয়েবসাইটে এগুলোরও হালনাগাদ কোন তথ্য নেই। দেশের বিভিন্ন উপজেলার ওয়েবসাইটে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের নামীয় তালিকাসহ মোবাইল নাম্বার থাকলেও দোয়ারাবাজার উপজেলার ওয়েবসাইটে কর্মরত সাংবাদিকদের নামীয় তালিকা নেই।
উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসের ওয়েবসাইট ওপেন করে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আপডেট করা হয়নি ওয়েবসাইটের তথ্য। ফলে বাস্তবতার সঙ্গে মিলছে না ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য। কর্মকর্তাদের আপডেট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া যাচ্ছে বদলি হয়ে যাওয়া কর্মকর্তাদের নাম। উপজেলা শিক্ষা অফিসার পঞ্চানন কুমার সানা বর্তমানে উপজেলায় কর্মরত থাকলেও ওয়েবসাইটে দেখা যায় এ কে এম ফজলুল হকের নাম ও মোবাইল নাম্বার।
উপজেলা আনছার ভিডিপি কর্মকর্তার নাম-মোবাইল নাম্বার ওয়েবসাইটে খুজে পাওয়া যায়নি। থানার অফিসার ইনচার্জ এর স্থানে রয়েছে বদলি হয়ে যাওয়া ওসি তদন্ত বেলায়েত হোসেনের নাম।
উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা গোলাম আম্বিয়া দায়িত্বে থাকলেও ওয়েবসাইটে দেখা যায় পূর্বের মোঃমুহিতুল ইসলাম ও মোঃশহিদুজ্জামানের নাম ও মোবাইল নাম্বার।
বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইট ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, নরসিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইট ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট , দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইট ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর, মান্নারগাও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইট ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর, পান্ডারগাও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইট ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর, বগুলা ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইট ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর, সরমা ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইট ২০১৮ সালের ২০ জুন, সর্বশেষ হালনাগাদ করা হয়েছে।
অপরদিকে ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটে “প্রকল্পসমূহ” ক্যাটাগরিতে প্রকল্প সংক্রান্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগ রয়েছে প্রকল্প সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করলে থলের বিড়ার বেরিয়ে আসতে পারে বলে প্রকাশ করা হচ্ছে না। এ ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য সরকারী অফিসের ওয়েবসাইট নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছেনা। নিয়মিত তথ্য আপডেট না করায় ডিজিটাল প্রযুক্তিতে তথ্য জানতে পারছেন না সচেতন নাগরিকরা।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে এটা মোটেও কাম্য নয়। ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য বাতায়ন কেন্দ্রের দায়িত্ব নিজেদের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের। উপজেলার সকল অফিস ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য আপডেটের ব্যাপারে খুব শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।