কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার মধ্যে জয়সিদ্ধি বসিয়াখাউরী বড়মোহা উচ্চ বিদ্যালয়ের শাহিদা বেগম মেধাবৃত্তি পেয়েছে। শাহিদা বেগম উপজেলার বড়মোহা গ্রামের বদরুল ইসলাম ও হাসনা বেগমের মেয়ে। সে তার ভাই-বোনদের মধ্যে ৫ম। শাহিদার পিতা এলাকার পাশবর্তী মধ্যে হাসকুরী গ্রামের জামে মসজিদে ইমামতি করে পরিবারকে নিয়ে জীবন যাপন পরিচালনা করে আসছেন। শাহিদা বেগম ৫ম শ্রেণীর সমাপনীতে মেধাবৃত্তি, জেএসসিতে মেধাবৃত্তি ও এসএসসিতেও মেধাবৃত্তি অর্জন করেছে। সুনামগঞ্জ জেলায় মানবিক বিভাগে ২টি ট্যালেন্টপুল বৃত্তির মধ্যে শাহিদা বেগম অন্যতম।
ইতিমধ্যে সে সিলেট সরকারী মহিলা কলেজে ভর্তির জন্য প্রথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু অর্থের অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত। কোন প্রতিষ্টান বা হৃদয়বান কোন ব্যক্তি যদি তার পড়া লেখার সহযোগিতায় এগিয়ে আসলে তার জীবন গড়ার নিশ্চয়তা হত।
শাহিদা বেগম এ প্রতিবেদকে বলেন আমার পিতা খুব কষ্ট করে পড়া লেখা করিয়ে এই পর্যন্ত এনেছেন, এবং আমার ফলাফলের পেছনে আমার শিক্ষকদের অবদান অনশিকার্য। সে আরও বলে আমি পড়া লেখা করে মানব সেবায় শরীক হতে চাই ।
শাহিদার পিতা মাওলানা বদরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি ইমামতি করে সংসার পরিচালনার পাশা পাশি আমার মেয়েকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছি, মেয়ের পড়া লেখা করার ইচ্ছা কিন্তু তাকে পড়া লেখা করানোর মত আমার সামর্থ নেই। তিনি আরও বলেন কোন সামর্থবান বা কোন প্রতিষ্ঠান যদি সহযোগিতায় এগিয়ে আসে তা হলে আমার মেয়েটার পড়া লেখা করা সম্ভব হবে।
জেবিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিবাস চন্দ্র বিশ্বাস এ প্রতিবেদককে বলেন আমাদের প্রতিষ্ঠান তার জন্য গর্বিত, তবে এই মেয়েটির পরিবার অসচ্ছল, আমার শিক্ষক স্টাফ সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতা করব, তবে যদি কোন হৃদবান ব্যক্তি এই মেয়েটিকে সহযোগিতা করলে সে সুন্দরভাবে পড়া লেখা করতে সক্ষম হত।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা (মাধ্যমিক) একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ নুরে আলম সিদ্দিকী এ প্রতিবেদকে বলেন, মেয়েটির খুবই মেধাবী, তবে তার পরিবার আর্থিক অসচ্ছল, আমার অফিসের মাধ্যমে কোন সুযোগ হলে এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। তিনি আর বলেন তার লেখা পড়ার জন্য তার পাশে কেউ যদি এগিয়ে আসেন, তা হলে এই মেধাবী মেয়েটি অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবে আমার বিশ্বাস।