কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জেনে শুনেই বাল্য বিয়ে করতে আসছিল বর। বিয়ে বাড়িতে বেশ আয়োজনও ছিলো। খুব সখ ছিলো বিয়ে করে নতুন বউ বাড়িতে নিয়ে যাবে। এমন সময় খবর পেল বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজকর্মীরা কনে বাড়ীতে অবস্থান নিয়েছে, তাই বাধ্যহয়ে রাস্থা থেকেই ফিরে যেতে হল বরযাত্রীসহ বর কে।
ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নে।জানা যায়, সোমবার ১০ আগস্ট উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার বড় মেয়ে শিরিনা বেগমের বাল্য বিয়ের আয়োজন করলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী এম জমিরুল ইসলাস মমতাজ সূত্রে জানতে পেরে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজকর্মীরা বিয়ে বাড়ীতে অবস্থান নেয়। এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে বর পক্ষ রাস্থা থেকে ফিরে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মরত চাইল্ড সেনসেটিভ সোস্যাল প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ (সিএসপিবি)প্রকল্পের সমাজকর্মী হিল্লোল পুরকায়স্থ বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের স্যার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার লিমাকে অবগত করি। পরে উনার নির্দেশে তাৎক্ষণিক বিয়ে বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেই।
তারপর নাবালিকা কিশোরীর পিতা বিল্লাল মিয়া ও গ্রামের ময়মুরুব্বিদের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা ও কাউন্সিলিং করার পর তাদের বুঝাতে সক্ষম হই যে, ১৮ বছর আগে মেয়েদের বিবাহ দেওয়া শুধু দন্ডনীয় অপরাধ নয় এর ফলে মেয়েদের উপর শারীরিক, মানসিক, আবেগীয়সহ আরও নানা ধরনের প্রভাব পরে। এরপর কিশোরীর বাবা- মা বলেন আমরা বিষয়টি না জেনে আয়োজন করে ছিলাম। এবং সাদা কাগজে অঙ্গীকার লিপিবদ্ধ করেন যে মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আর বিয়ে দিবেন না।