কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজে ননগ্রেড রড ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ভবন নির্মাণ কাজে নিন্মমানের রড ব্যবহার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসী।
তাদের অভিযোগ কারো কথা তোয়াক্কা না করেই ভবন নির্মাণকারি সমীর চন্দ্র দাস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাতের আধারেই নিন্মমানের ননগ্রেড রড দিয়ে করছে ভবন নির্মাণের কাজ। ভবন নির্মাণে কেএসআরএম রড লাগানোর কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজের খেয়াল খুশিমত কেএসআই ৪০০ রড দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ভবন নির্মাণে মারাত্মক অনিয়ম হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বারবার নিষেধ করার পরেও পুরাতন রড দিয়েই চলছে ভবন নির্মাণের কাজ।
জানা যায়, চলতি বছরের ০৯ই ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ইং তারিখে এই আসনের সাংসদ পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নানের প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণের জন্য ৬৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৪৮ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভবন নির্মাণে কিছু জায়গায় ননগ্রেড রড ব্যবহার করা হয়েছে। পুরাতন নিন্মমানের রড পরে রয়েছে যত্রতত্র। ভবন নির্মাণের মেয়াদ একবার শেষ হলেও এখনো কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। যার ফলে লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এসময় এলাকাবাসীর অনেকেই অভিযোগ করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বহুল প্রত্যাশিত এই ভবনে অনিয়ম সহ্য করবেন না বলেও জানান অনেকে।
শত্রুমর্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধনঞ্জয় চন্দ্র বলেন, বারবার বলার পরেও নিন্মমানের রড ব্যবহার করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আমরা এব্যাপারে ইউএনও মহোদয়ের কাছে অভিযোগ করেছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা বলেন, ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়ম হচ্ছে। নির্মাণ কাজে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কারো কথা মানছে না।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রঞ্জিত পাল বলেন, মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয় আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে আধুনিক ভবন দিলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজের খেয়াল খুশিমত কাজ করে যাচ্ছে। ননগ্রেড রড দিয়েই কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্বাধীকারি সমীর চন্দ্র দাস বলেন, যে রড ব্যবহার করা হচ্ছে তা ভালো। কোন পুরাতন রড ব্যবহার করা হচ্ছে না।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী রাজু আহমেদ বলেন, আমরা পুরাতন রডগুলো না লাগানোর জন্য বলেছিলাম। যদি লাগিয়ে থাকে তাহলে তা খুলে ফেলা হবে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, স্কুল কমিটির অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল ভবনটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যাব।
Posted ২:৪৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad