রবিবার ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

দক্ষিণ সুনামগঞ্জে  বন্যা ও বৃষ্টিতে নাজেহাল বন্যাদুর্গতরা

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০     146 ভিউ
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে  বন্যা ও বৃষ্টিতে নাজেহাল বন্যাদুর্গতরা
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সুনামগঞ্জ  প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ পুরো উপজেলায় ২৮ দিন ধরে বন্যার সাথে যুদ্ধ করছে ৮ টি ইউনিয়নের  প্রায় ১ লাখ ৩০  হাজার মানুষ। তিন দফা বন্যার সাথে গত চারদিন ধরে যোগ হয়েছে থেমে থেমে বৃষ্টি। বন্যা আর বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকার বানভাসিদের।
মাঝে মাঝে ভারি বৃষ্টি ও একটানা পাহাড়ি ঢলে ৩য় দফা বন্যায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন পুরো দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজলাবসাী। একদিকে রয়েছে করোনার প্রভাব আর অন্যদিকে  বন্যার কবলে পড়ে দিশাহারা এই উপজেলার মানুষ। বেশি নিদারুণ কষ্টে রয়েছেন কেটে খাওয়া দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।  এই   ৩য় দফা বন্যা এবার এক ভয়ংকর রুপ নেয়ায় তলিয়ে  গেছে অনেকের বাড়িঘর, পানির নিচে চলে গেছে হাট বাজার ও রাস্তাঘাট। এক অন্ধকার ভয় আজ হাওরপাড়ের মানুষের জীবনে নিয়ে এসেছে অজানা দুর্ভোগ আর জীবন যাপনে এনে দিয়েছে সংকট। দেখা দিয়েছে নিরাপদ পানির অভাব। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় ভয়ে ভীত হাজার হাজার পরিবার। করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে বন্যার্তরা ঠাঁই নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রায় সবগুলো গ্রামের রাস্থায় ডুবে গিয়ে উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। মানুষ দিশেহারা হয়ে ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খুজে।  এই করুন অবস্থায় তাদের কাছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা শোয়ার স্থানটুকু নেই। দিন যাচ্ছে দুর্ভোগের পাল্লা দ্রুত বাড়ছে। চরম সংকটে দিন পার করছে বানভাসীরা। কষ্ট আর সংকট সময় পাড় করলেও অনেকের ভাগ্যে মেলেনি ত্রাণ।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পুরো উপজেলার মানুষ এখন পানি বন্দি। বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন উঁচু স্থানে অনেকে আশ্রয় নিলেও খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে বানভাসীরা। পরপর ৩য় দফা বন্যা দিশেহারা করে দিয়েছে মানুষকে। ধান, গবাদিপশু, আসবাবপত্র, খড়, নিয়েও বিপাকে পড়েছে মানুষ।
উপজেলার জামলাবাজ গ্রামের জুয়েল মিয়া বলেন, এক মাসে ৩ বার বন্যা আর কখনো দেখি নাই। খুব কষ্টে আছি। ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় মারাত্মক ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছি আমরা।
নুর মিয়া নামের আরেকজন বলেন, পানিতে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে গরু-ছাগল নিয়া বিপদে আছি৷ কয়েকদিন হয় এই রাস্তার মধ্যে গরু রাখছি। বন্যায় আমাদের সব শেষ  করে দিয়েছে।
ডুংরিয়া গ্রামের এলকাছ মিয়া বলেন, পানিতে আমার ঘর তলিয়ে গেছে। ধান, গরু ছাগল, আসবাবপত্র নিয়ে মারাত্মক সমস্যায় আছি। কি করি কোথায় যাই চিন্তায় আছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, এ পর্যন্ত মোট ৫৬৫ টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রথম দফা থেকে এ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার বিতরণসহ সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান স্যারের নির্দেশনায় আমরা সবসময় বন্যার্তদের পাশে আছি। স্যার প্রতিনিয়ত এলাকার খোজখবর নিচ্ছেন। আমাদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, আমরা সবসময়ই চারিদিকে খোজখবর রাখছি। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৯:০৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

Sylheter Janapad |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
সম্পাদক ও প্রকাশক
গোবিন্দ লাল রায় সুমন
প্রধান কার্যালয়
আখরা মার্কেট (২য় তলা) হবিগঞ্জ রোড, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
ফোন
+88 01618 320 606
+88 01719 149 849
Email
sjanapad@gmail.com