কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের জামখলা হাওরের বাচাডুবি জলমহাল ইজাদার কর্তৃক নীতিমালা বহির্ভূত সাবলিজ দেওয়ায় খরিদাদের দু-পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এই বিষয়ে বিগত ২১ জুলাই ২০১৯ ইং তারিখে বাচাডুবি জলমহালের একাংশের সাবলিজ গ্রহনকারী পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের সলফ গ্রামের আলমগীর হোসেন ও মো: শাহজাহান মিয়া কর্তৃক সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাচাডুবি জলমহালটি দূর্গাপাশা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ১৪২৬ বাংলা সন হতে ১৪৩১ বাংলা সন পর্যন্ত ৬ বছরের জন্য ইজারা পায়। ইজারা পাওয়ার পর সমিতির ২২ জন সদস্যের মধ্যে ৭ জন সদস্য অভিযোগকারীর নামে ষ্টাম্পের মাধ্যমে তাদের অংশ নগদ ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১ শত ১২ টাকা পাইয়া সাবলিজ প্রদান করে।
একই সমিতির অন্যান্য সদস্যরা উক্ত জলমহালের বাকী অংশ পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের উমেদনগর গ্রামের জানার মিয়া ও ছদরুল মিয়ার কাছে সাবলিজ প্রদান করে। বর্তমানে জানার মিয়ার লোকজন জলমহালটির রক্ষনাবেক্ষনে আছেন অভিযোগকারী ক্রয়কৃত অংশে দখলে ও বিল পাহাড়া দিতে গেলে জানার মিয়ার লোকজন বাঁধার সৃষ্টি করায় উভয় সাবলিজ গ্রহনকারী পক্ষের মধ্যে জলমহাল দখল নিয়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ইজারাদার দূর্গাপাশা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ছানু মিয়া সাবলিজ দেওয়ার বিষয়ে জানান, আমি জলমহাল সাবলিজ দেইনি।
সাবলিজ গ্রহনকারী জানার মিয়া বলেন, আমি এই জলমহাল সাবলিজ নেইনি এবং দখলেও যাইনি।
সাবলিজ গ্রহনকারী আলমগীর হোসেন বলেন, জানার মিয়া উক্ত জলমহালে প্রকাশ্যে দখলে আছেন এবং আমরা ষ্টাম্পের মাধ্যমে ক্রয় করে বিল পাহাড়ায় গেলে উনি আমাদেরকে বাঁধা নিষেধ করছেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আগে আলাপ করেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মীর বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী জলমহার সাবলিজ দেওয়ার কোন নিয়ম নাই, যদি তদন্তে প্রমানিত হয় তাহলে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ৮:০০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad