শনিবার ৩রা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত হত দরিদ্র আল আমীনের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯     267 ভিউ
ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত হত দরিদ্র আল আমীনের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক

মখলিছ মিয়া,বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) থেকে : এক মাস বয়সি এক নবজাতকসহ তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত আল আমীনের স্ত্রী। তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে মানবেতন জীবন কাটাচ্ছেন নিহত আল আমীনের স্ত্রী। সন্তানদের মধ্যে এক মাস বয়সীও এক শিশু রয়েছে তার। অনাহার-অর্ধাহারে কাটছে তাদের দিন।

জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া ১৫ হাজার টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রতিবেশিদের দয়ার উপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন ৪ সদস্যের এই পরিবারটি। এ বিষয়টি নজরে আসে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের। এ অবস্থায় অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ালেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

২৫ নভেম্বর সোমবার তার পক্ষে বানিয়াচং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মতিউর রহমান খান স্থানীয় বাজার থেকে চাল, ডাল, তেল, লবণ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করে তার সাথে নগদ টাকা নিহত আল আমীনের স্ত্রী ফুলবানু এর কাছে হস্তান্তর করেন।

এসময় জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে ফুলবানু এর কাছ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর আর্থিক সাহায্যের একটি আবেদন গ্রহন করা হয়, যার মাধ্যমে ফুলবানু ও তার পরবিাররে জন্য জেলা প্রশাসক সাহায্যরে ব্যবস্থা করবেন।

ইতিপূর্বেও জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে নিহত আল আমীনের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকার আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মতিউর রহমান খান বলেন, সকালে জেলা প্রশাসক মহোদয় ফোন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই অসহায় পরিবারটির জন্য প্রয়োজনীয় বাজার সদাই করে তাদের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক আমি নিজে সেখানে উপস্থিত হয়ে বাজার সদাই করে ওই পরিবারটির কাছে দিয়ে আসি। সাথে কিছু নগদ অর্থও প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আরো সহায়তা দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, আল আমীন (৩০) হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের গুণই গ্রামের আয়ুব হোসেনের ছেলে। তিন সন্তানের জনক আল আমীন ছিলেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। দুটি শিশু কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে অভাব-অনটনে দিন কাটে তার। পৈত্রিক সম্পত্তি বলতে একটি বাড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই।

এলাকায় কাজ না থাকায় অভাবের তাড়নায় আল আমীন চট্টগ্রামে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। তার ৯ বছর ও ৬ বছর বয়সি দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দূর্ঘটনার দুই সপ্তাহ আগে আল আমীনের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। তাকে দেখা জন্য আল আমীন চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়ি বানিয়াচং আসেন।

সেখানে সপ্তাহখানেক থাকার পর ফের তিনি কর্মস্থলে রওনা দেন। ১২ নভেম্বর দূর্ঘটনার রাত সাড়ে ১২টায় শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ওঠেন আল আমীন। রাত ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দূর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:২৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

Sylheter Janapad |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
সম্পাদক ও প্রকাশক
গোবিন্দ লাল রায় সুমন
প্রধান কার্যালয়
আখরা মার্কেট (২য় তলা) হবিগঞ্জ রোড, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
ফোন
+88 01618 320 606
+88 01719 149 849
Email
sjanapad@gmail.com