সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বন্যায় পুকুর থেকে মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ দিলশাদ মিয়া জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়।
লিখিত আবেদন থেকে জানাযায়, উপজেলার ৪নং সাচনা বাজার ইউনিয়নে শুকদেবপুর ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বটে। ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে ১শত ৫০ শতক জাগার উপর একটি পুকুর খনন করেন চলতি ১৪২৬ বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসে ধার-দেনা করেন ৮০ হাজার পোনা ছাড়া হয়। কিন্তু ইতিপূর্বে চলতি অকাল বন্যায় আমার পুকুর তলিয়ে যায়, যার দরুণ পুকুরে চারদিকে জাল দিয়ে বাঁধ দেওয়ার পরেও পানির শ্রোতে পুকুর থেকে মাছ বেরিয়ে যায়, পুকুর খনন ও মাছের পোনা ক্রয় বাবদ ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। দুই মাসে মাছের খাদ্য বাবদ ৪ লক্ষ টাকা সহ মোট ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে আমার পুকুরে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মাছ অবশিষ্ট রয়েছে। প্রতিদিন ১০/২০ টি করে মাছ মরে গিয়ে ভেসে উঠছে। যদি পুকুর সহ মাছ বিক্রয় করা যেত তাহলে বিক্রয় মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা। মাছ চাষ সফল হলে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হতাম। ব্যাংক ঋণ ও ধার দেনায় জর্জরিত, প্রতিদিন পাওনা দারের তাগিদ শোনা হচ্ছে। এমনকি পুকুরের ২জন বেতন ভুক্ত কর্মচারী বেকার অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে তাদের বেতন ভাতা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। এমতাবস্থায় আমার সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমাকে সরকারী আর্থিক সহযোগীতা করা জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
Posted ৪:০০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad