ছাতকের ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের কহল্লা গ্রামে এক সংখ্যালঘু পরিবারের গৃহবন্দির বিষয়টি প্রশাসনের হস্থক্ষেপে নিস্পত্তি ঘটেছে। গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল ও ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামালসহ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তি করেন।
অভিযোগকারী কহল্লা গ্রামের মৃত গোপেন্দ্র দেবনাথের পুত্র নিশিকান্ত দেবনাথ বিষয়টির নিস্পত্তি ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেন। এখন থেকে তারা গৃহবন্দি থেকে মুক্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগকারী জানিয়েছেন। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদও উপস্থিত ছিলেন। নিশিকান্ত দেবনাথের পরিবারকে গৃহবন্দির ঘটনা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন।
তিনি জানান, গ্রামের হারিছ আলী, আমজদ আলী ও গৌর মনি দেবনাথের সাথে নিশিকান্ত দেবনাথের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ-বৈঠকে নিস্পত্তি ঘটলেও নিশিকান্ত পক্ষ সালিশ-বৈঠকের রায় মেনে নিতে পারেনি। ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিষয়টি নিস্পত্তির লক্ষে ৩১ আগষ্ট লাকেশ্বর বাজারে তার সভাপতিত্বে এক সালিশ-বৈঠক ডাকা হয়। পূর্ব নির্ধারিত এ বৈঠকে যথা সময়ে উভয় পক্ষকে থাকার জন্যও বলা হয়েছে। কিন্তু ওইদিন নিশিকান্ত পক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। এসময় বৈঠকে উপস্থিত অনেকেই নিশিকান্ত পরিবারকে একঘরে করে রাখার কথাসহ বিভিন্ন মতামত দিলেও এসব মতামত দেশের প্রচলিত আইন বিরোধি বলে বৈঠকে এসব মতামতের কোন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। বৈঠক সম্পর্ককে নিশিকান্তকে কে বা কারা ভুল ইনফরমেশন দিয়েছে তার জানা নেই। এ ব্যাপারে নিশিকান্ত পরিবারের কেউ তার সাথে যোগাযোগও করেনি। গৃহবন্দির ঘটনাটি একটি রটনা ও ভিত্তিহীন এবং মনগড়া বিষয় ছিল। কারো ইন্দনে হয়তো তারা তার বিরুদ্ধে এমন কাল্পনিক অভিযোগ দিয়েছে।
Posted ১০:১৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad