ছাতকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার ও কন্ঠ ক্লোন করে একটি মাদ্রাসা থেকে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক সংবদ্ধ প্রতারক চক্র। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায়ের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে উপজেলার বুরাইয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম ফারুকীর কাছ থেকে একাধিক বিকাশ একাউন্টে এসব টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায়ের মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে নিজেকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে হুবুহু কন্ঠ নকল করে অজ্ঞাত স্থান থেকে অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম ফারুকীর নাম্বারে কল করে কলার জানায়, বুরাইয়া মাদ্রাসায় শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মাদ্রাসায় ১৭টি ল্যাপটপ দেয়া বরাদ্দ হয়েছে। ল্যাপটপ গুলো পেতে হলে প্রতিটি ল্যাপটপের বিপরীতে ৮ হাজার টাকা করে বিকাশের মাধ্যমে দ্রুত পাঠাতে হবে। কিছুক্ষণ পর অন্য একটি মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে কল করে এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উদৃতি দিয়ে টাকা গুলো তাড়াতাড়ি পাঠানোর জন্য তাগিদ দেয়া হয়। এ সময় অধ্যক্ষ তার পরিচয় জানতে চাইলে বিপরীত দিক থেকে তাকে ধমক দিয়ে বলে যে, আপনি(অধ্যক্ষকে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম্বারটিও শেফ করে রাখেননি। এক পর্যায়ে অনেকটা ভয় পেয়েই মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ফারুকী পৃথক তিনটি বিকাশ নাম্বারে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। টাকা পাঠানোর পর বিষয়টি নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক শিক্সা কর্মকর্তার ওই নাম্বারে আবারো কল দিলে মাধ্যমিক শিক্ষা পুলিন চন্দ্র রায় ফোন রিসভ করলেই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়। এসময় পুলিন চন্দ্র রায় অনেকটা হতভম্ব হয়ে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায় জানান, তার সরকারি নাম্বারটি প্রতারক চক্র ক্লোন করে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে টাকা চাচ্ছে। বুরাইয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টিও ছিল প্রতারক চক্রের জালিয়াতির একটি অংশ। বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ছাতক থানার ওসিকে মৌখিকভাবে অবগত করা হয়েছে। এ ছাড়া তার নিজেস্ব ফেসবুক আইডিতেও এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়ে এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
Posted ১২:৫০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad