কে,এ,রাহাত, গোয়াইনঘাটঃ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের কুলুমছড়া গ্রামের স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী আদালতের দেয়া ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিছনাকান্দি গ্রামের মৃত গিয়াছ উদ্দিনে ছেলে নাজমুল ইসলাম(৩৫) এর ১৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে পাথর উত্তোলন করেছে। এ ব্যাপারে নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার কুলুমছড়া পার মৌজা, জে,এল, ২১ খতিয়ান ৩২, এস, এ, দাগ নং-১০৬, পরিমাণ শতক ১.৪৯শতক শ্রেণী আছরাউরা। বি,এস,জে,এল, ১০,বি,এস খতিয়ান-১৮,বি,এস,দাগ নং-৬৮ পরিমাণ ০.০৫ শতক। খতিয়ান-১৯,দাগ নং ৬৮ পরিমাণ ০.০৫ শতক। খতিয়ান ৩৮,দাগ৬৮ পরিমাণ ০.০৬ শতক মোট ০.১৬ শতক জমি। বিছনাকান্দি গ্রামের নাজমুল ইসলাম র পৈতৃক সম্পত্তি।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,তফশিল বর্নিত জমির রেকর্ডীয় মালিক বিছনাকান্দি গ্রামের রইয়ব আলী। রইয়ব আলীর ত্যাজ্যবিত্তে মালিক ও দখলদার হন মৃত গিয়াস উদ্দিন, মৃত গিয়াস উদ্দিন র পৈতৃক সম্পত্তির মালিক তার ছেলে নাজমুল ইসলাম দীর্ঘদিন দরে এই জমির দেখাশোনা ও রক্ষনাবেক্ষন ও ভোগদখল করে আসছেন।
বিগত জরিপে নাজমুল ইসলামের অনুপস্থিতে তফশিলে বর্নিত জমি অন্যের রেকর্ডে চলে যায়। পরে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মাননীয় সহকারী জজ গোয়াইনঘাট আদালতে ১০৫/১৯ইং মামলা দায়ের করেন নাজমুল ইসলাম। যাহা বর্তমানে বিচারাধীন আছে এবং মাননীয় অতিঃ জেলা হাকিম আতালত গোয়াইনঘাট, সিলেট, গোয়াইনঘাট বিবিধ মামলা নং ০৫/২০২০ইং মামলাটি বর্তমানে দায়েরি আছে।
কিন্তু স্থানীয় কয়েক জন সন্ত্রাসী গায়ের জুরে ওই জমি দখল করে পাথর উত্তোলন করছে। জমির মালিক নাজমুল ইসলাম নিরুপায় হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও নাজমুল ইসলাম সিলেটের মাননীয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর একটি বিবিধ মামলা দায়ের করেন।
যার নং গোয়াইনঘাট বিবিধ (০৫/২০২০)। পরে আদালত ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৪ ধারার নোটিশ জারি করেন। এবং উভয় পক্ষের সাক্ষ্য প্রমান সহ ১২/০৩/২০২০ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেট হাজির হতে বলেন। আদালত কর্তৃক ওই জমিতে স্থানীয় নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার পরও অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা নাজমুল ইসলামকে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখিয়ে নির্ভয়ে পাথর উত্তোলন করছে।
জমির মালিক নাজমুল ইসলাম বলেন, তিনি এই পৈতৃক সম্পত্তির মালিক। কিন্তু ওই সম্পত্তিতে জোর করে পাথর উত্তোলন করছেন কুলুমছড়া গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে বুরহান উদ্দিন,মজির উদ্দিন,মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে নুর মিয়া, মজির উদ্দিনের ছেলে তাজ উদ্দিন সহ তাদের সাথে জড়িত সহযোগীরা।
এতে বাধা দিলে প্রানে মারার হুমকিসহ, হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি মামলায় জড়ানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই জমির আশপাশে বুরহান উদ্দিন বাহিনীর সন্ত্রাসী বাহিনী প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে। এবং শ্রমিক দিয়ে পাথর উত্তোলন করে।
পরিশেষ নাজমুল ইসলাম তার পৈতৃক সম্পত্তি উদ্বার করার জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।