কে, এ, রাহাত, গোয়াইনঘাট : দাবি মোদের একটাই, কাঁচা রাস্তা পাঁকা চাই’ এই স্লোগান সামনে রেখে গোয়াইনঘাট উপজেলার ৬নং ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দী বাজার থেকে গুলনী চা বাগান হয়ে ফতেপুর বাংলাবাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তাটির সংস্কার ও পাকা করনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ৫জুলাই দুপুরে পাঁচ মৌজার রাস্তা উন্নয়ন গণ ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বড়নগর রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে এলাকার লোকজন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, কাচা এই রাস্তাটিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ১২ মাস। বর্ষায় হাটু সমান কাদা ও শীত মৌসুমে ধূলার কারনে ভোগান্তির মধ্যেই থাকতে হয় তাদের। তাই অতি দ্রুত রাস্তাটিকে পাকা করার দাবী জানান সরকারের কাছে।
এ বিষয়ে ফতেহপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন এই রাস্তায় আমি গত ২বছর আগে ২লক্ষ টাকার মাটিভরাট কাজ করিয়েছি। ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাস্টার নজরুল ইসলাম ছিলেন উক্ত প্রকল্পের সভাপতি। তাছাড়া ইতিমধ্যে এই রাস্তার কথা আমি মন্রী মহোদয়কে বলেছি তিনি বলেছেন এই রাস্তাটি পাকাকরনের ব্যবস্থা করে দিবেন। এবং অলরেডি ১কিলোমিটার ডিওলেটার হয়েছে। খুব কম সময়ের মধ্যে এই রাস্তা পাকাকরন করা হবে।
মানববন্ধনে বক্তৃতায় অনেকে অভিযোগ করেন, এই রাস্তাটি নিয়ে বার বার স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দারস্থ হয়েছেন তারা। তবে সবাই আশ্বাস দিয়েছে, যার বাস্তবায়ন কয়েকযুগেও হয়নি। এ রাস্তাটি গ্রামবাসী নির্মাণ করেছিলে প্রায় ৫৮ বছর আগে। ৫৮ যাবৎ এই রাস্তাটি কাঁচা। এই এলাকার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। বিন্নাকান্দী বাজারের পাশে দিয়ে এই গ্রামীন রাস্তাটি বয়ে গেছে বড়নগর গুলনী চা-বাগান হয়ে বাংলাবাজার।
৩০-৪০ হাজার মানুষের চলাচলের এক মাত্র রাস্তা এটি। কিন্ত বর্ষার সময় প্রায় ৪ কিলোমিটাররের এই রাস্তাটি কাঁদা হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই এই এলাকার জনসাধারণদের। বাজারের জন্য বিন্নাকান্দী ও বাংলাবাজারে আসতে হয় এই প্রান্তিক মানুষের। বর্ষার সময় ঠিকভাবে বাজারের আসাযাওয়া করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে বিন্নাকান্দী স্কুল কলেজে আসতে হয় এই এলাকার ছাত্র/ছাত্রীদের। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই টিকমত স্কুল কলেজ আসতে পারেননা শিক্ষার্থীরা। ভোগান্তির আরেক নাম এই রাস্তাটি। প্রতি বছর বর্ষার সময় আমাদের সব ধরণের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। ঘন বর্ষায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচলেরন সুযোগ হয়না।
এলাকার স্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারহাজার মানুষের দুঃখ-দুদর্শা থেকে মুক্তি পেতে এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যাতে দ্রুত রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, পাঁচ মৌজা রাস্তা উন্নয়ন গণ ঐক্য পরিষদের সভাপতি যুবলীগ নেতা রহিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন সুলতান, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মস্তাক, আলী আহমদ, ইমরান আহমেদ, মাওলানা হাসান চৌধরী, মাওলানা বেশির উদ্দিন, মাওলানা আজিম উদ্দিন, জিয়াউল ইসলাম, আব্দুল কাদির, বিপ্লব, রফিক মিয়া, আব্দুল হান্নান, তুতা মিয়া, গিয়াস রানা, জিয়াউল ইসলাম, দুলাল ,বিলাল, রিয়াজুল ইসলাম, শামীম আহমদ, মাস্টার নিখিল, মধুবাবু, খোকন, দুলু,সহিদ, খলিল, খালিদ, সামছুল ইসলাম প্রমুখ।