ছবি- সিলেটের জনপদ
ঈদ উল আযহা ক্ষণ গননায় আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। কোরবানীর হাটগুলো অবশেষে জমে উঠেছে গোলাপগঞ্জ। প্রতিবছর ঈদ উল আযহা উপলক্ষে দীর্ঘ সময় কোরবানীর হাটগুলো জমজমাট থাকলে এবার ব্যতিক্রম হয়েছে।
গত কয়েকদিন থেকে বাজার জমে না উঠায় ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে একটা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগতে দেখা গেছে। তবে শনিবার উপজেলার প্রত্যেকটি কোরবানীর পশুহাটে সন্তোষজন কেনা বেচা হয়েছে বলে জানা গেছে। খামারী ও পাইকারী বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এ বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ গবাদিপশু থাকায় ক্রেতাদের কোরবানীর পশু রাখা, চুরির ভয় ও খাবারের দাম বেশি ইত্যাদি কারণে বিলম্বে পশুর হাট জমেছে। তবে ঈদেও দিন সকাল পর্যন্ত হাটগুলো আশানুরূপ থাকবে বলে উভয় আশাবাদী। তবে বাজারে বিক্রি কম হওয়ার কারণ হিসেবে দেশীয় গরুর চাহিদা বেশি হওয়ায় ক্রেতারা বিক্রেতাদের বাড়ি গিয়ে কিনতে পছন্দ করছেন। পাশাপাশি প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় হাট থেকে কোরবানীর পশু দেখে পরবর্তীতে মোবাইলের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় অনেকে সহজ পন্থা হিসেবে উল্লেখ করছেন।
উপজেলার বিভিন্ন পশুরহাট ঘুরে দেখা যায়, এবার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে ছোট-বড় প্রায় ৮টি স্থায়ী অস্থায়ী পশুরহাট বসেছে। প্রধান পশুর হাটটি বসেছে উপজেলার প্রসিদ্ধ পশুরহাট লক্ষণাবন্দ ইউপির পুরকায়স্থ বাজারে। তাছাড়া উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বাজারের মাদ্রাসা মাঠ, গোলাপগঞ্জ সরকারি এমসি স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ, ডেপুটি (রাওকার বাজার) বাজার, মিরগঞ্জ বাজার, আছিরগঞ্জ বাজার, বাঘা পরগনা বাজার, রাখালগঞ্জ বাজারেও বসেছে কোরবানীর পশুরহাট। পশু হাটগুলো বরাবরের মতো দেশী গরুর চাহিদাই বেশি। হাটগুলোয় দেশীয় গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুর উপস্থিতিও রয়েছে। গরুর পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ছাগলও উঠেছে হাটগুলোতে।
কোরবানীর পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া যায়। কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা যায়, এবার কোরবানীর ঈদে বড় গরুর চেয়ে মধ্যম সাইজের ৩০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা দামের গরুর চাহিদা বেশি। ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলুম হোসাইনিয়া মাদ্রাসা মাঠে গরু বিক্রি করতে আসা লিমন আহমদ জানান হাটগুলোতে ক্রেতা সমাগম থাকলেও মৌসুমী ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্মে গৃহস্থ্যরা তাদের দেশীয় গরুর প্রাপ্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে গরু আমদানী করে অপেক্ষাকৃত কম দামে বিক্রয় করে দিচ্ছে। একই হাটে কোরবানীর জন্য গরু ক্রয় করতে আসা রুবেল আহমদ জানান হাটে গবাদি পশুর পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখছি। দামও তুলনামূলক ক্রয়ক্ষমতার ভিতরে রয়েছে।
এদিকে কোরবানীর হাট প্রসঙ্গে পুরকায়স্থ বাজার ও সরকারি এমসি একাডেমি মাঠের ইজারাদার সেলিম আহমদ জানান এবার কোরবানীর পশু বেচাকেনার পরিমাণ অন্যান্য বছর থেকে কম ছিল। তিনি আশা করছেন এই সময়ের মধ্যে বিক্রির পরিমাণ বাড়বে। কোরবানীর হাট নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুল আলম জানান হাটগুলোতে দেশীয় গরুর প্রাধান্য বেশি। হাটে আসা গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় একটি মনিটরিং টিম ও একটি ভেটিনারী মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
Posted ২:০৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১১ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad