অজামিল চন্দ্র নাথ, গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউপিতে শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত ৪৬০টি কম্বল উধাও এর অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে গত ৪/৫দিন থেকে উপজেলা জুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়।স্থানীয়দের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। ইউপি সচিব ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা।
গরীব দুঃখী মানুষের অধিকার ভাগ করে তারা বিভিন্নভাবে স্বার্থউদ্ধার করছেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ভূক্তভোগীরা। স্থানীয়রা জানান, ৮জানুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নবনিযুক্ত ইউপি সচিব মুমিন আহমদ ইউনিয়নের গুদামের তালা খুলে ২বস্তা কম্বল সিএনজিতে করে কোথায় নিয়ে যান। পরদিন স্থানীয়রা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সচিবকে কম্বলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন চেয়ারম্যানের নির্দেশে এক মাদ্রাসায় সব কম্বল দেয়া হয়েছে। তবে কোন মাদ্রাসায় দেয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি তাদের কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নয় বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত কম্বল শীতার্তরা পায়নি। আমরা এর সঠিক তদন্ত দাবি করছি।লক্ষীপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। তবে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।
লক্ষীপাশা ইউপি সচিব মুমিন আহমদ বলেন, কম্বলগুলো এক আবাসিক মাদ্রাসায় দেয়া হয়েছে। কোন মাদ্রাসায় দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেব জানেন। তার নির্দেশে কম্বল দেয়া হয়েছে। সিএনজিতে করে কম্বল নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন যদি কেউ দেখে থাকে তবে তার প্রমাণ দেখাক।
ইউপি সদস্য হেলাল আহমদ বলেন, আমাদেরকে ২০টি করে কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে আমরা অনুমান করতেছি কিছু কম্বল গোলাপগঞ্জ হযরত শাহজালাল হাফিযিয়া লতিফিয়া মাদ্রাসায় দেয়া হয়েছে।
লক্ষীপাশা ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ মুসন মাদ্রাসায় কম্বল দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসায় কোন কম্বল দেয়া হয়নি। মাদ্রাসায় কম্বল দেয়ার জন্য বরাদ্দ করেছি। এছাড়াও ইউনিয়নের ৯জন সদস্যকে ২০টি করে ও ৩জন মহিলা সদস্যকে ১০টি করে মোট ২১০টি কম্বল দেয়া হয়েছে। বাকীগুলো গুদামে রয়েছে। সিএনজিতে করে কম্বল নিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
Posted ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad