কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়ায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিনে রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাস্তার কাজ বন্ধ করে রাস্তার নিন্মিমানের কার্পেটিং তুলে ফেলে দেয়। এসময় রাস্তার উভয়পাশে গাড়ী আটকে রাখায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স এম আর ট্রেডিং এর ঠিকাদার মুহিবুর রহমান কোকিল, তার সহযোগী ঠিকাদার আব্দুল হাকিম বাচ্চু ও উপজেলা প্রকৌশলী ইসতিয়াক হাসানকে প্রকাশ্যে প্রায় দেড় ঘন্টা আটকিয়ে রেখে কাজের অনিয়মের বিষয় কৈফত চাইলে তারা পাশ কাটিয়ে স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করলে স্থানীয় এলাকাবাসী ঘেরাও করে রাখেন। খরব পেয়ে কুলাউড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রয়ন করে। পরে রাস্তার কাজ সঠিকভাবে সম্পাদনের প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয় এবং অবরোধ তুলে নেন। তবে ফের যদি কাজের অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে আরও বড় ধরনের আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন স্থানীয়রা।
১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, কুলাউড়া উপজেলার পুশাইনগর বাজার থেকে ভুকশিমইল পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রাস্তার মেরামত বাবত ১০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স এম আর ট্রেডিং এর মালিক মুহিবুর রহামন কোকিল। কাজটি বাস্তবায়নের শুরুতেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্যাপক অনিয়ম শুরু করে। বৃহস্পতিবার গৌরীশঙ্কর এলাকায় সরজমিন কাজের অনিয়ম দেখে সকাল সাড়ে ১১ টায় কাজ বন্ধ করে দেয়। প্রায় ২ ঘন্টা কাজ বন্ধ রাখার পর কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইশতিয়াক ও ঠিকাদার মো. মুহিবুর রহমান কোকিল ঘটনাস্থলে যান। এতে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদেরকে ঘেরাও করে রাখে।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, রাস্তা কার্পেটিং করে যাওয়ার পর কেউ হাত দিয়ে টান দিতেই কার্পেটিং উঠে আসে। আবার পা দিয়ে খোঁচা দিলে তা উঠে যায়। এত নিন্মমানের কাজ কোন রাস্তায় হয়নি। গাড়ী চলাচল করলেই পিচ উঠে যাবে। কাজ চলাকালে ঠিকাদের কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার অফিসের কোন লোকজন উপস্থিত থাকে না। ফলে শ্রমিকরা তাদের ইচ্ছামত কাজ করে। কোথায়ও আধা ইঞ্চি আবার কোথায় এরচেয়ে কম পিচ ঢালাই করা হচ্ছে।
এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী মু. ইসতিয়াক হাসান ও ঠিকাদার মো. মুহিবুর রহমান কোকিলকে অবরুদ্ধ করে রাখার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় বিভিন্নজন সঠিক তদন্ত করে কাজ সম্পন্ন করার দাবী তুলেন। পাশাপাশি অনিয়মের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানান।
ঠিকাদার মো. মুহিবুর রহমান কোকিল অবরুদ্ধের বিষয়টি পাশ কাটিয়ে বলেন, রাস্তার কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্রাইম কোট করা হয়েছে মাত্র। কাজ শেষ হরে এই কাজ অনেক মজবুত হবে। যে কাজ ম্যানুয়েলি হওয়ার কথা সেই কাজ মেশিনে হচ্ছে। ট্যাকনিক্যাল কোন সমস্যা নেই। স্থানীয় লোকজন ভুল বুঝে কাজে বাঁধা দিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
কুলাউড়া থানার এসআই সনক কান্তি দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে করি।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মু. ইসতিয়াক হাসান অবরুদ্ধের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ হচ্ছে। এলাকাবাসী মনে করেছে ৩ ইঞ্চি কাজ হবার কথা। ভুল বুঝাবুঝির কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছে।
Posted ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad