কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ড বিতরণকালে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে চৌধুরীবাজার মাদরাসায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এতে স্মার্ট কার্ড বিতরণে নিয়োজিত উপজেলা নির্বাচন অফিসার আহসান ইকবালসহ ৪ জন আহত হন। হামলাকালে দুটি কম্পিউটার ভাঙচুরসহ দেড়শতাধিক স্মার্টকার্ড হারিয়েছে। এঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শফি চৌধুরী পলিট (৩০) নামক এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার আহসান ইকবালের থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, চৌধুরী বাজার গাউছিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদরাসায় রাউৎগাঁও ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের ভোটরদের স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ রাউৎগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আলম চৌধুরী রুবেলের নেতৃত্বে ৬-৭ জনের একটি সন্ত্রাসীদল লাঠিসোটা নিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের কম্পিউটার সার্চিং রুমে প্রবেশ করে সিরিয়াল ভঙ্গ করে সবার আগে তাদের স্মার্টকার্ড দিতে হবে বলে জানায়। এসময় তারা উত্তেজিত হয়ে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করে। এসময় নির্বাচন কর্মকর্তা তাদের লাইনে দাঁড়িয়ে স্মার্টকার্ড সংগ্রহের অনুরোধ জানালে উল্টো তাঁর উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় দায়িত্বে থাকা নির্বাচন অফিসার আহসান ইকবাল, কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল ছাদেক মাছুম, উজ্জ্বল আহমদ ও দেলোয়ার হোসেন আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলাকারীদের তান্ডবে দুটি ল্যাপটপ ভাঙচুর করে। এতে ১ লাখ ৩০ হাজার ক্ষতি হয়। দেড়শতাধিক স্মার্ট কার্ড হারিয়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আলম চৌধুরীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিসার আহসান ইকবাল বাদি হয়ে সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় ৩ জনের নামোল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামী করে মঙ্গলবার রাতে কুলাউড়া থানায় মামলা (নং ৩৩) দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটককৃত শফি চৌধুরী পলিটকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
Posted ১০:৩৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad