কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে স্বামীর নির্যাতনে মুন্নী বেগম (২০) নামক এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ০৩ নভেম্বর রাত ৯টায় গৃহবধুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বুধবার ০৪ নভেম্বর ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধুর স্বামী ইয়াইদ আলী (২৫) পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও গৃহবধূর পরিবার সুত্রে জানা যায়, জয়চন্ডী ইউনিয়নের দানাপুর গ্রামের মৃত শফত আলীর ছেলে ইয়াইদ আলীর সাথে এক বছর আগে একই এলাকার মুন্নী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মুন্নীকে নির্যাতন করতেন স্বামী ইয়াইদ আলী। মুন্নি নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রায় সময় পিতার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে স্বামীকে দিতেন। দেড়মাস আগে তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
গত ২ নভেম্বর টাকার জন্য স্ত্রীকে মারধর করেন স্বামী ইয়াইদ আলী। এতে গৃহবধু মুন্নী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ০৩ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় মুন্নীকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন তার ভাইয়েরা। মুন্নীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে মুন্নীর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে রাত ৯ টার দিকে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর ও কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসানসহ পুলিশ গৃহবধুর পিতার বাড়িতে যান এবং লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
মুন্নীর ভাই মঈন উদ্দিন ও জসীম উদ্দিন অভিযোগ করেন, ইয়াইদ সম্পর্কে তাঁদের ফুফাতো ভাই। তিনি কোন কাজকর্ম করেন না। বিয়ের পর থেকে মুন্নীকে টাকার জন্য মারধর করতেন। দুদিন আগে তিনি মুন্নীকে মারধর করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় মুন্নীকে তার স্বামী ইয়াইদসহ আমরা কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক মুন্নীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলার পর ইয়াইদ পালিয়ে যায়।
কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর জানান, নিহত গৃহবধূর লাশ শেষে ময়ানতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Posted ৮:১১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ নভেম্বর ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad