কুলাউড়া উপজেলা সদরের মিলি প্লাজায় শনিবার দুপুরে নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়ায় হাশেম সরকার (৪৮) নামক এক শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় লোকজন। আটক হাশেম সরকার পাশ্ববর্তী জুড়ী উপজেলার নয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদরাসার সহকারি শিক্ষক।
জানা যায়, কুমিল্লার বাসিন্দা আবুল হাশেম সরকার জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম-শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার সরকারি শিক্ষক (গণিত)। দীর্ঘদিন থেকে এখানে চাকরীর সুবাধে একই ইউনিয়নের বেলাগাঁও গ্রামে তিনি বিয়ে করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ২ সন্তানের জনক হাশেম সরকার দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রাসা ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে কেউ মুখ খুলেনি। গত ২ জুলাই পরীক্ষা চলাকালে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার সহ-সুপারের সাথে তার মারামারির ঘটনাও ঘটে।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে হাশেম সরকারকে ৩ জুলাই চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সাথে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শিক্ষক হাশেম সরকার শনিবার দুপুর ১টায় কুলাউড়া শহরের মিলি প্লাজা মার্কেটে প্রকাশ্যে এক নারীর শরীরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এতে ওই মহিলা উত্তেজিত হলে মার্কেটে অবস্থানরত লোকজন ও ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে কুলাউড়া থানায় সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে নয়াগ্রাম-শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জিয়াউল হক জানান, ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে হাশেম সরকার প্রায় দেড় মাস থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে।
কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Posted ৫:৩৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad