কুলাউড়া উপজেলার কালিটি চা বাগানে রেশনে শ্রমিকদের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ আটা দেয়ার অযুহাত তুলে একটি মহল শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে শ্রমিক ও বাগান ব্যবস্থাপনা বিভাগ অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে উল্টো বাগান শ্রমিক ও বাগান ব্যবস্থাপনা বিভাগের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিন কালিটি চা বাগানের রেশন প্রদানকালে বাগানের শ্রমিক দেও নারায়ন, কিষ্ণ গোয়ালা, রামউতি, ললিত দাস, শ্রীজনম, লিটন জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ কোন আটা দেয়া হচ্ছে না। আগেও কোন সময় দেয়া হয়নি। রেশন হিসেবে বাগান থেকে ২টাকা দরে তারা আটা ক্রয় করেছেন।
বাগান কর্তৃপক্ষসহ কয়েকজন শ্রমিক জানান, বাগানের শ্রমিক সহদেব রবিদাসের ছেলে শ্রীজগৎ, দয়াল অলমিক ও লিটন কালোয়ারসহ একটি বিশেষ চক্র এই মিথ্যা গুজব রটাচ্ছে। বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন তারা। এরা বাগানে নিষিদ্ধ ঘোষিত পুর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কার্যক্রম এবং গণমুক্তি গানের দল নামে আরেকটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে জড়িত। এদের কাজই হচ্ছে শ্রমিকদের উস্কানী দিয়ে বাগানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। সেই চক্রের যোগসাজশে গণমাধ্যমেও বিকৃত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। বাগান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। যারা বাগানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র আরও জানায়, বাগানের আয়ে শ্রমিকদের বেতনভাতা ও রেশন চালিয়ে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। তারপরও বাগান মালিকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় রেশন প্রদান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি শম্ভু দাস জানান, আমার বক্তব্য বিকৃত করে তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আমি বলিনি রেশনে শ্রমিকদের মেয়াদোত্তীর্ণ আটা দেয়া হচ্ছে। আমাদের বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির জন্য একটি মহল পায়ঁতারা চালাচ্ছে।
বাগানের স্টোর কিপার রাজেস কুমার গোয়ালা জানান, কোন অবস্থাতেই মেয়াদউত্তীর্ণ আটা শ্রমিকদের দেয়া হচ্ছে না। ভালো মানের আটা শ্রমিকদের দেয়া হচ্ছে। টাকা দিয়ে নগদ আটা কেনা হয়। কেন খারাপ আটা কেনা হবে?
অভিযুক্ত শ্রীজগৎ, দয়াল অলমিক ও লিটন কালোয়ারের সাথে কথা বলতে এলাকায় গেলে তাদের পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিলে তারা ফোন রিসিভ করেনি।
বাগান ব্যবস্থাপক প্রনব কান্তি দাস জানান, বাস্তবে শ্রমিকদের খারাপ বা মেয়াদোত্তীর্ণ আটা দেয়া হয়না। এধরণের ঘটনা ঘটে থাকলে বাগানের রেশন প্রাপ্ত শ্রমিকরা বিষয়টি বাগান কর্তৃপক্ষকে জানাতো। টাকা দিয়ে কেন মেয়াদোত্তীর্ণ আটা কিনতে যাবো? বাগানে না এসে কেউ মনগড়া প্রতিবেদন করলে এর নেপথ্যে নিশ্চয়ই অসৎ উদ্দেশ্য থাকতেই পারে। যারা অভিযোগ করেছে, তারাতো বাগানের নিয়মিত শ্রমিকও নয়।
Posted ৯:২১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad