আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ একটি ভ্যালিড জব অফার নিয়ে কানাডা যেতে পারলে কেমন হতো আসলে! আসলেই কী বাংলাদেশ থেকে প্রকৃত জব অফার পাওয়া সম্ভব!
কোন কানাডিয়ান কোম্পানি যদি কানাডা সরকারের সব নিয়মকানুন মেনে চলে জব ভিসার নিশ্চয়তা দেয়, তবে সম্ভব। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশ থেকে কানাডায় জব ভিসা কিংবা ওয়ার্ক পারমিট পাওয়াটা কঠিন বিষয়।
আর সে জন্যেই জব অফারের সত্যতা যাচাই অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ এবং উক্ত তথ্য যাচাই ছাড়া কোনো পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া কোনোভাবেই উচিত নয়।
তাহলে ভ্যালিড জব অফার কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য করণীয় কী?
১. অনলাইন রিসার্চ: জব অফার নিয়ে যোগাযোগকারী ব্যক্তি ও কোম্পানির ব্যাপারে অনলাইন রিসার্চ করুন। তাদের কোনো ওয়েবসাইট না থাকলে অফারটি ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওয়েবসাইট থাকলে কন্ট্যাক্ট ডিটেইলস দিয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে পৃথকভাবে তথ্য সংগ্রহ করুন। নামকরা নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি নিয়োগদানের জন্য তাদের কর্পোরেট ইমেইল আইডি ব্যবহার করে থাকেন।
তাই ফ্রি ইমেইল প্রোভাইডার যেমন জিমেইল, ইয়াহু, হটমেইল ইত্যাদি থেকে আগত জব অফারগুলো অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ।
২. আর্থিক লেনদেন: জব ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার পূর্বেই যে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকুন। যখন কোনো নিয়োগকর্তা আপনাকে চাকরি দিতে চাইলে শুরুতেই বিশ্বস্ত কোনো কোম্পানি কখনোই কোনো ধরনের আপফ্রণ্ট ফি, ডিপোজিট, ট্রেনিং ফি, ভিসা ফি ইত্যাদি চাইবে না।
অনেক অসাধু ব্যবসায়ী ওয়ার্ক ভিসার দেয়ার নাম করে শুরুতে বেশকিছু টাকা ডিপোজিট মানি হিসেবে নিয়ে নেয়। ভিসা না হলে পরবর্তীতে পুনরায় অ্যাপ্লিকেশন করার সময় আর কোনো টাকা লাগবে না এই মর্মে আশ্বাসও দিয়ে থাকে।
কাজেই কোথাও টাকা দেয়ার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে, সেটি প্রকৃতই কানাডিয়ান কোনো কোম্পানি কিনা।
৩. ওয়ার্ক পারমিটের সত্যতা যাচাই: একইভাবে যে কোনো ওয়ার্ক পারমিটের সত্যতা যাচাই করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করার অধিকার একমাত্র ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ, কানাডা কর্তৃপক্ষের।
সুতরাং একমাত্র তাদের কর্তৃক ইস্যুকৃত ওয়ার্ক পারমিটের কপিটি আপনি অনলাইন থেকে অন্য যে কোনো ওয়ার্ক পারমিটের স্যাম্পল বা ফরম্যাটের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।
কোনো এজেন্সি বা ব্যক্তি যদি আপনাকে জব অফার বা ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে থাকেন, তবে সেটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আপনি ’ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সেটেলমেন্ট’ ওয়েবসাইটে (http://immigrationandsettlement.org) প্রদত্ত ওয়ার্ক পারমিট স্যাম্পলটি দেখে নিতে পারেন।
৪. জব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ: সম্ভব হলে কানাডায় জব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি ফোনে অথবা ইমেইলে কথা বলুন। কাজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ব্যাপারে ভালোভাবে খোঁজখবর নিন। নিজে সচেতন হোন এবং সঠিক তথ্য জানুন। ইমিগ্রেশন দালাল কিংবা ফেসবুকীয় তথাকথিত কনসালট্যান্টদের লোভনীয় প্রস্তাবের দিকে পা বাড়ানোর আগে অবশ্যই একাধিকবার ভাবুন।
জি এস/ এস জনপদ
Posted ৭:১৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad