বুধবার ২৯শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

কানাইঘাটের মুলাগুল ও খেয়াঘাট এলাকায় অবৈধভাবে পাথর ভাঙ্গছে শতাধিক ক্রাশার মিল : বাড়ছে দুর্ভোগ

বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯     316 ভিউ
কানাইঘাটের মুলাগুল ও খেয়াঘাট এলাকায় অবৈধভাবে পাথর ভাঙ্গছে শতাধিক ক্রাশার মিল : বাড়ছে দুর্ভোগ

আলিম উদ্দিন, কানাইঘাট : সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরমা নদীর তীরে ও লোভাছড়ার মুলাগুল এবং সুরইঘাট বাজার এলাকায় অবৈধ ভাবে পাথর ভাঙ্গছে প্রায় অর্ধশতাধিক ক্রাশার মিল। এতে জনদুর্ভোগ সহ পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। প্রতিদিন লোভাছড়া কোয়ারীর পাথর এখানে এসব জায়গায় এনে ভাঙ্গা হচ্ছে। এছাড়া এখান থেকে ভাঙ্গা পাথর ট্রাক ও ট্রলি যোগে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বিক্রি হয়। এতে অতিরিক্ত পাথর নিয়ে ট্রাক ও ট্রলি চলাচলের কারণে রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রীক উপায়ে পাথর ভাঙ্গার কাজ না করে ডিজেল চালিত অদ্ভুদ ধরনের হাতে তৈরি লোহা দিয়ে মেশিন তৈরি করে পাথর ভাঙ্গার কাজ চলছেন স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীরা।

এতে করে এলাকার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দুষিত হচ্ছে। এলাকার লোকজন ধুলাবালির কারণে নানা রোগে ভোগান্তিতে পড়ছেন। পরিবেশ দুষিত হওয়ার কারণে জনসাধারারণের চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হলেও যেন দেখার কেউ নেই। পাথর ভাঙ্গার মেশিনের শব্দে কান জালাপালা করে। ধুলাবালি ও শব্দের কারণে বিশেষ করে শিশু কিশোর’রা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। প্রশাসনিক ভাবে মাঝে মধ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালিত করা হলেও পরে রহস্যজনক কারণে মন্তরগতি পরিলক্ষিত হয়। ইতিপুর্বে মহামান্য হাইকোর্ট ক্রাশার মেশিন দিয়ে পাথর ভাঙ্গা অবৈধ ঘোষনা করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ক্রাশার মেশিন গুলো পাথর ভাঙ্গার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এলাকার সচেতন মহল জানান, প্রশাসনিক ভাবে উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, পরিবেশবিদরা দায়সারা ভাবে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে থাকেন এতে কাজের কাজ কিছুই হয়না। অভিযান পরিচালনার পর ক্রাশার মিল সমিতির কর্তা ব্যক্তিরা সেই প্রশাসনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে থামিয়ে দেয়া হয় অভিযান। ফলে অভিযানের মূল লক্ষ্য এলাকার লোকজনের সুফল ভয়ে আনেনা। অভিযানের কারণে দু’চার দিন ক্রাশার মেশিনগুলো বন্ধ থাকলেও আবার সচল হয়ে উঠে। অবৈধ লেনদেনের কারণে পরিবেশ দুষন মুক্তি পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে কানাইঘাটের খেয়াঘাট এলাকায় ক্রাশার মেশিনের পরিধি দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া উপজেলার মুলাগুল এলাকার লোভার নদীর এপারে অপারে গড়ে উঠেছে আরো বেশ কিছু ক্রাশার মেশিন। অবৈধ এই ক্রাশার মেশিন গুলো দিয়ে রোজগারের আয় বেশি থাকার কারণে মালিকানা ও বাড়ছে দিন দিন। বর্তমানে কানাইঘাট খেয়াঘাটের আশপাশ ব্যাতিত সুরইঘাট বাজারের আশপাশ, নিহালপুর, লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর আশপাশ এলাকায় ছোট বড় অনেক ক্রাশার মেশিন পাথর ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

এবছরের প্রথম দিকে কানাইঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুসি কান্ত হাজং উক্ত ক্রাশার মেশিন গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৭টি ক্রাশার মিলের বেল্ট কেটে তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে পাথর ব্যবসায়ী আবার ক্রাশার মেশিন দিয়ে পাথর ভাঙ্গার কাজ শুরু করে দিয়েছে। এদিকে কানাইঘাট খেয়াঘাট পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী আব্দুল মালিক মানিক বলেন, খেয়াঘাট এলাকায় ক্রাশার মেশিন দিয়ে কোন পাথর ভাঙ্গা হচ্ছেনা। এগুলো বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহ করে আমরা উক্ত ক্রাশার মিল গুলো চালু করবো।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:৩২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Sylheter Janapad |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
সম্পাদক ও প্রকাশক
গোবিন্দ লাল রায় সুমন
প্রধান কার্যালয়
আখরা মার্কেট (২য় তলা) হবিগঞ্জ রোড, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
ফোন
+88 01618 320 606
+88 01719 149 849
Email
sjanapad@gmail.com