ছবি- সিলেটের জনপদ
কানাইঘাটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির মুলাগুল, ডাউকেরগুল ও ভালুকমারা এলাকা। এখানে রয়েছে দেশের অন্যতম খনিজ সম্পদ লোভাছড়া পাথর কোয়ারী, সামাজিক বনায়ন ও লোভাছড়া চা বাগান। উক্ত পাথর কোয়ারী থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাথর ব্যবসায়ীরা এসে এখানে পাথর ব্যবসা করতেছেন। এছাড়া হাজার হাজার শ্রমিকরা প্রতিদিন কাজ করেন লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে।
কানাইঘাটের লোভানদীর তীরবর্তী স্থানে মুলাগুল বাজার ও কান্দলা নয়াবাজার নামে একটি বাজার রয়েছে। উক্ত বাজারে ব্যবসায়ীরা ও শ্রমিকদের সকল প্রকার লেনদেন এবং অত্র এলাকার বাসিন্দারা নিয়মিত হাট-বাজার করতে আসছেন। কিন্তু সেই বাজারে প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। কান্দলা নয়াবাজার ও মুলাগুল বাজারে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ড্রেন না থাকায় বাজারের ময়লা-আবর্জনা বাজারের গলির মধ্যে জমাট হয়ে থাকে। এতে এলাকার জনসাধারনের মারাত্মক দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া বাজারে কোন ধরনের পাবলিক টয়লেট না থাকার কারণে বহিরাগত লোকজনেরা বাজারের বিভিন্ন খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে। এতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির লোভানদীর ওপারে ডাউকেরগুল, ভালুকমারা, বাখালছড়া, ডেওয়াটিলা, কান্দলা, ছতিপুর এপারে রয়েছে সাউদগ্রাম, বড়গ্রাম, কালীজুরী সহ কয়েকটি গ্রাম। এসব গ্রামের রাস্তাঘাটে বিরাজ করছে বেহাল অবস্থা। যেন দেখার কেউ নেই। সরকারের বিভিন্ন বাজেট থেকে বরাদ্দ আসলেও সঠিকভাবে কাজ হয়না। ইতিমধ্যে বাখালছড়া গ্রামের জালালপুরী রাস্তার উপর একটি কালভার্ট নির্মাণ হয়েছে অথচ ৫/৬ মাস হয়ে গেছে কিন্তু কালভার্টের দু’পার্শ্বে মাটি ভরাট এখন পর্যন্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মুলাগুল অঞ্চলের জনসাধারণ নয়াবাজার হইতে ভালুকমারা পর্যন্ত একটি রাস্তা পাকাকরণ, নয়াবাজারের দু’পাশের গলির ড্রেন নির্মাণ এবং মুলাগুল বাজার ও কান্দলা নয়াবাজারে পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা সহ জালালপুরী রাস্তা পাকাকরণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
Posted ৩:০৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad