শাব্বির এলাহী, কমলগঞ্জ: শনিবার (১৬ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় প্রার্থী ও সমর্থকরা রাতের ঘুম হারাম করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইছেন। পোস্টারে ছেয়ে গেছে প্রধান সড়কসহ প্রতিটি অলিগলি। মেয়র পদে লড়ছেন বর্তমান মেয়র মো.জুয়েল আহমেদ, বিএনপির মো.আবুল হোসেন, আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ও বহিষ্কৃত শ্রমিকলীগ নেতা হেলাল মিয়া।
শেষ সময়ে সাধারন মানুষের ধারনা লড়াই হতে পারে ত্রিমুখী। যদিও ইতিমধ্যে বিদ্রোহী দুজনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তবে তৃণমুলের ভোটারদের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তা থাকায় মেয়র পদে ‘ত্রিমুখী’ লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। পুরো পৌর এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ, প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে উৎসব মুখর পরিবেশে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচারণার শেষ সময়ে প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থী থাকলেও দলের মধ্যে গ্রুপিং থাকায় সুবিধা করতে পারছেন না বিএনপির (ধানের শীষ) প্রার্থী আবুল হোসেন। তৃণমুল বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন, সকল গ্রুপিং নিরসন করে সঠিক প্রার্থী নির্বাচন করলে হয়তো এবার বিএনপির বিজয় নিশ্চিত হত।
তবে কমলগঞ্জ পৌরসভায় ৬০ শতাংশ ভোটাররাই বিএনপি ঘরানার। এদিকে বর্তমান পৌর মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী হলেও ধারণা করা হচ্ছে দলমত নির্বিশেষে রয়েছে তার জনপ্রিয়তা। ফলে বিএনপি ঘরানার ভোট ব্যাংকের ৫০ শতাংশ ভোটই নৌকায় পড়বে বলে তিনি আশাবাদী।
বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন জানান, যেহেতু বিগত নির্বাচনে তিনি নৌকার মনোনয়ন চাওয়ার পর পরবর্তী পৌর নির্বাচনে নৌকার আশ^াস পেয়েছিলেন। এবারও নৌকা না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আ.লীগের অনেক ভোটই তিনি পাবেন।আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী হেলাল মিয়াকেও মেয়র হিসেবে চাইছেন অনেক ভোটার। সে হিসেবে তৃনমুল আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগ বিরোধী ভোটাদের আকৃষ্ট করে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় থাকবেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বলেন, ইতিমধ্যে সুষ্ঠ নির্বাচন করার লক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যদি কেউ কোন অন্যায় করতে চায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে কাজ করা হবে।
Posted ৭:৫১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad