মন্টু মিয়ার "উড়াল পবন" নৌকা, ইনসেটে- পুরস্কার গ্রহন। ছবি- সিলেটের জনপদ
‘ঝিলমিল ঝিলমিল করেরে ময়ূর পংঙ্খি নাও , কোন মেস্তরী নাও বানাইছে এমন দেখা যায়’ বাউল শাহ আব্দুল করিমের গানে মুখরতি ছিলো ওসমানীনগর উপজলোর পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের বল্লভপুর ।
শনবিার (০৩ আগস্ট) বল্লবপুরের শিঞ্জিরা নদীতে অনুষ্টিত হয় ঐতহ্যিবাহী এ নৌকা বাইচ।
সিলেট , মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা হাজার হাজার লোকে লোকারন্য হয় পুরো বল্লভপুর। পুরো দিনব্যাপি ছিল উৎসবমূখর পরিবেশ। শেষ দুপুরের মিঠেল রোদে নান্দনিক সাজে সেজেছিল নৌকার বাইচারা। প্রতিটি নৌকায় ছিল ৪০-৫০ জন বাইচা। প্রাচীন ঐতিহ্যকে ফিরে পেয়ে হাজার হাজার দর্শক ছিলেন উল্লসিত। মুহুর্মুহু করতালি আর উচ্চৈঃস্বরে চিৎকারে বাইচাদের উৎসাহিত করে মুখর হয়েছিল বল্লভপুর গ্রাম।
উড়াল পবন , জল পবন সহ মোট পাঁচটি নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে। সবাইকে হারিয়ে বিজয়ের হাসি হাসে মন্টু মিয়ার “উড়াল পবন”। পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় সোনার নৌকা এবং সোনার বৈঠা।
নৌকা বাইচে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বলেন, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ এখন আর তেমন চোখে পড়েনা। বল্লভপুরের শিঞ্জিরা নদীর মতো প্রতিটি নদীতে এরকম নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হলে বেচে থাকতো গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
Posted ১১:৪৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৩ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad